সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলার বন্ধু ও দীর্ঘদিনের বিজনেস পার্টনার মিহির দিবাকরের (Mihir Diwakar) বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। অবশ্য এই তালিকায় শুধু মিহিরই নন, টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়কের আর এক পূর্বপরিচিত সৌম্য বিশ্বাসের নামও ছিল। রাঁচির আদালতে এই মামলা দায়ের করার পর এবার তামিলনাড়ু কোর্টে এই একই ইস্যুতে মামলা দায়ের করলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। তবে এতে বিতর্ক থেমে যাওয়ার নাম নিচ্ছে না। কারণ প্রাক্তন ক্রিকেটার মিহিরের দাবি, ধোনিই নাকি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন!
ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে ঘিরে ‘অর্ক স্পোর্টস’এর সঙ্গে চুক্তি ও আর্থিক প্রতারণা মামলা বিষয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন মিহির। তাঁর বিরুদ্ধে মাহির তোলা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে মিহির জানিয়েছেন যে তিনি কোনও রকমের কোনও আর্থিক প্রতারণা করেননি। উল্টে প্রাক্তন ধোনিই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন! এবং তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন! পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেন যে মাহি তাঁর থেকে কোনও টাকা পান না। বরং তিনি পাঁচ কোটি টাকা পান বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের কাছ থেকে!
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে মহম্মদ শামি, মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার]
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে আমাকে এটা বলতে হচ্ছে যে আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ যা সংবাদমাধ্যমগুলি ছাপিয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এগুলি করা হয়েছে আমাকে বদনাম করার জন্য। মাহি আমায় অনুমতি দিয়েছিল ২০১৭ সালে ওর সঙ্গে কাজ করার জন্য। তাছাড়া ও যেই আইনি নোটিস আমাকে পাঠিয়েছে, সেগুলিরও জবাব দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টা আমি সকলের কাছে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই যে মাহি আমার থেকে ১৫ কোটি টাকা পায় না। সত্যিটা এটাই যে আমি ওর থেকে পাঁচ কোটি টাকা পাই। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে ধোনি ও তাঁর ডিরেক্টররা একাধিক অবৈধ কাজ করেছেন। সুতরাং আমি এটাই বলবো যে আমার সঙ্গে চরম অন্যায় করেছে ধোনি।’
ধোনির আইনজীবী দয়ানন্দ সিং আদালতে জানান, “২০১৭ সালে এমএস ধোনির নামে একটি গ্লোবাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অভিযুক্ত মিহির দিবাকর। দেশে ও বিদেশে কয়েকটা জায়গায় অ্যাকাডেমির জন্য জমি দেখা হলেও, শেষ পর্যন্ত কাজ এতটুকুও এগোয়নি। চুক্তি অনুসারে ধোনিকে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল অর্ক স্পোর্টসের। কিন্তু মিহির দিবাকর ও সৌম্য বিশ্বাস সেই শর্ত পূরণ করতে পারেননি। অর্ক স্পোর্টস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের তরফ থেকে আমরা প্রতারিত হয়েছি। এবং ক্ষতি হয়েছে ১৫ কোটি টাকার বেশি।” এবার এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।