সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমে আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন (China)। তবে কমিউনিস্ট দেশটির আগ্রাসন যে মেনে নেওয়া হবে না, সেই বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হল মালাবার মহড়ার ২৪তম সংস্করণ ‘মালাবার ২০২০’ (Malabar 2020)।
[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউস দখলের দৌড়ে এগিয়ে বিডেন, কড়া টক্কর দিচ্ছেন ট্রাম্পও]
চলতি মাসে দু’দফায় চলবে এই নৌ মহড়া। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশ ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। লাদাখে ভারত-চিনের সংঘাতের আবহে এই মহড়াকে নতুন মাত্রা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার যোগদান। দীর্ঘ ১৩ বছর পর মালাবার গোষ্ঠীতে ফিরে এল অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে বড় ধাক্কা খেয়েছে চিন বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ। গতকাল থেকে বিশাখাপত্তনমে শুরু হয়েছে মালাবার মহড়ার প্রথম পর্ব। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এই সামরিক মহড়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইস্টার্ন ফ্লিটের কমান্ডিং ফ্ল্যাগ অফিসার রিয়ার অ্যাডমিরাল সঞ্জয় বাৎসায়ন। শক্তিপ্রদর্শন করে এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ভারতের ডেস্ট্রয়ার রণবিজয়, ফ্রিগেট শিবালিক, অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল সুকন্যা, শক্তি, সাবমেরিন সিন্ধুরাজ। এছাড়া জেট ট্রেনার হক, উপকূলে নজরদারির চালানোর কাজে ব্যবহৃত পি-8 আই, ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট এবং একাধিক হেলিকপ্টার। এছাড়া, মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী, জাপান মেরিটাইম সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্স এবং রয়াল অস্ট্রেলিয়ান নেভি। এই মহড়ায় আমেরিকার গাইডেড মিসাইল ধ্বংসকারী রণতরী জন এস ম্যাককেন, এম এইচ-৬০ কপ্টারবাহী অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধজাহাজ বাল্লারট, জাপানের যুদ্ধজাহাজ ডেস্ট্রয়ার ওমানি।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ থেকে সমুদ্র সুরক্ষার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছিল ভারত। ২০১৫ সালে মালাবার মহড়ায় যুক্ত হয়েছিল জাপানের নৌবাহিনীও। গোড়া থেকেই তা নিয়ে বেজিং সন্দিহান ছিল। তাদের ধারণা, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতেই এই মহড়া করা হয়। চলতি মাসের শুরুতে টোকিওতে চার দেশের বিদেশমন্ত্রী আলোচনা সভায় যোগ দেন। সেখানেই অস্ট্রেলিয়াকে মালাবার নৌ মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গ ওঠে।