shono
Advertisement

‘২০১৪ থেকে চোখে চোখে, কানে কানে কথা হতো’, নাম না করে শুভেন্দুকে তীব্র শ্লেষ মমতার

টিকিট না পেলেও অনেকে দলের কাজেই নিবেদিত, 'প্রকৃত' কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তৃণমূল নেত্রী।
Posted: 02:18 PM Mar 20, 2021Updated: 02:26 PM Mar 20, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকিট সবাই পায় না। কিন্তু টিকিট না পেয়েও যাঁরা দলের কাজে নিবেদিতপ্রাণ, তাঁরাই আসল সম্পদ। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে নির্বাচনী জনসভায় দলীয় কর্মীদের প্রতি এভাবেই কার্যত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এ প্রসঙ্গে তিনি খেজুরির বর্তমান বিধায়ক, দলবদলকারী রণজিৎ মণ্ডলের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। নাম না করে বলেন, ”খেজুরির যে বিধায়ক, আমাদের দলের, ওর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ কানে এসেছিল। তারপর ও গদ্দারি করে। তাই এবার ওকে টিকিট দিইনি। পার্থপ্রতিম দাসকে টিকিট দিয়েছি। আপনারা ওকে জেতান, খেজুরিতে যে কাজ বাকি আছে, ও করে দেবে। আমি বলে যাচ্ছি।” শুভেন্দু অধিকারীর নাম উহ্য রেখে তাঁর তোপ, ”২০১৪ থেকে চোখে চোখে, কানে কানে কথা হতো ওদের। কত বড় গদ্দার!”

Advertisement

পূ্র্ব মেদিনীপুর এবং ‘বিশ্বাসঘাতক’ – বঙ্গে একুশের ভোটের (WB Assembly election) আগে এই দুই শব্দকে প্রায় সমর্থক করে তুলেছে তৃণমূল। নেপথ্যে যাঁর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। এতদিন তৃণমূলের সঙ্গে থেকে, ভোটে জিতে সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী হওয়ার পরও আচমকা দল ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূল নেতারা নানা দিক থেকে আক্রমণ শানিয়ে তুলেছেন। ভোট আবহে আরও বেশি করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই সুর চড়ছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। কারণ, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবারের লড়াইয়ে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। তাই দুই ‘ফুল’ শিবিরেই আক্রমণ, পালটা আক্রমণের পারদ চড়ছে।

[আরও পড়ুন: ‘হোয়াটসঅ্যাপেই বিপ্লব করেন, মানুষের কথা ভাবেন না’, মোদিকে খোঁচা অভিষেকের

এই অবস্থায় শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় টানা দু’দিন ধরে প্রচার করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে চোট নিয়ে হুইলচেয়ারে বসেই একেকদিনে তিন জায়গায় সভা চলছে তাঁর। শনিবার খেজুরির সভা থেকে নাম না করে মমতা বলেন, ”২০১৪ সাল থেকে চোখে চোখে, কানে কানে কথা হতো ওদের। কত বড় গদ্দার! তখন শুধু বলতো ‘চোখে চোখে কথা বলো/মুখে কিছু বোলো না’। এখন সব বোঝা যাচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে সচেতন মোদি, খড়গপুরের সভায় নিলেন না পুষ্পস্তবক-ফুলের মালা]

গত নভেম্বরে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সেই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। কথাবার্তাও হতো। বড় দাদার মতো শুভেন্দুকে পরামর্শ দিতেন তিনি। আর তাঁর এই বক্তব্যকেই পরবর্তীতে হাতিয়ার করে তৃণমূল দলে থেকে ‘মীরজাফরে’র মতো আচরণের অভিযোগে বারবার শুভেন্দুকে বিদ্ধ করে।  মমতা নিজেও তার ব্যতিক্রম নন। তবে এদিন যে শ্লেষের সুরে তিনি আক্রমণ করলেন, তা নিঃসন্দেহে অন্যমাত্রা যোগ করল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement