কিংশুক প্রামাণিক, শিলং: কথা রাখলেন তিনি। শিলং (Shillong)সফরের প্রথম দিনই ঘোষণা করেছিলেন, অসম পুলিশের গুলিতে নিহত ৫ পরিবার ও আহত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন, আর্থিক সাহায্য করবেন। পরদিনই সেই ঘোষণা কার্যকর করে তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার শিলংয়ে কর্মিসভা শুরুর আগে স্বজনহারা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে তুলে দিলেন চেক। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ৫ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে নিহত ও আহতদের পরিবারকে। সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমবেদনা জানালেন। সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সোমবার তিনি মেঘের রাজ্যে পৌঁছনোমাত্রই বোঝা গিয়েছিল ‘মমতা ম্যাজিক’। রাজধানী শিলংয়ে পা রেখে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাতে আপ্লুত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের যাত্রা শুরু হল। এই রাজ্য আগামী দিনে এক গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।’’ রাজনৈতিক দিক থেকে দেখলে মেঘের রাজ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার সপার্ষদ যোগদানের পর খাসি-জয়ন্তী-গারো পাহাড়ে ঘাসফুলের যে চাষ চলছে তাতে কংগ্রেস আরও ভাঙতে পারে।
[আরও পড়ুন: মরা পায়ে প্রাণ ফেরাল সূচ! ২ টাকায় বিরল রোগ সারাল কলকাতার হাসপাতাল]
গত ২২ নভেম্বর অসম-মেঘালয় সীমানা সমস্যার জেরে অসম পুলিশের গুলিতে ৫ নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। শিলংয়ে পা রেখে সেই প্রসঙ্গ উসকে কার্যত অসম পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপরই তিনি জানান, মানবিকতার স্বার্থে স্বজনহারা পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করতে চান। কথামতোই কাজ। মঙ্গলবার শিলংয়ে কর্মী সম্মেলন শুরুর আগে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন সমবেদনা, হয়ে উঠতে চাইলেন ‘কাছের মানুষ’। তাঁকে এতটা কাছে পেয়ে মানুষজনও বুঝলেন, আর পাঁচজন রাজনীতিকের মতো নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকৃত অর্থেই তিনি ‘মমতাময়ী’।
[আরও পড়ুন: নজরে লালফৌজ, অরুণাচলে সীমান্ত সংঘাতের পরই মহড়া শুরু ভারতীয় সেনার]
এর আগে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে শিলংয়ে ছোটখাটো ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে নিজে ঢোল বাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুগ্ধ হয়ে তা দেখলেন শিলংবাসী।