shono
Advertisement

Breaking News

কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষে দেরি! ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিলেন ফিরহাদকে

দীর্ঘদিন ধরে চলছে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ।
Posted: 09:48 AM Apr 20, 2023Updated: 09:59 AM Apr 20, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকল্প ঘোষণার পর প্রায় পাঁচ বছর কাটতে চলল। এখনও শেষ হল না কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার ঢিলেমিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) তিনি নির্দেশ দিলেন, দরকারে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু দ্রুত কাজ শেষ হওয়া চায়।

Advertisement

ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণি স্কাইওয়াক তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের দিনই মমতা কালীঘাটে স্কাইওয়াক (Kalighat Skywalk) তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সেটা ২০১৮ সালের নভেম্বর। দক্ষিণেশ্বরের আদলে কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। এসপি মুখার্জি রোড থেকে কালী টেম্পল রোড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশো মিটার লম্বা একটি স্কাইওয়াক তৈরির বরাতও দেওয়া হয়। ঠিক হয় স্কাইওয়াক ওঠার জন্য থাকবে তিনজোড়া চলমান সিঁড়িও।

[আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশের জের, ৩৫ বছর পর মন্দিরের কাজ থেকে বরখাস্ত দুই মুসলিম ব্যক্তি]

তারপর সাড়ে চার বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও কাজ স্কাইওয়াকের (Skywalk) শেষ হয়নি। যদিও শুরুর দিকে দোকানপাট সরানো, হকারদের আপত্তি এসবের জন্য কাজ শুরু হতে ২০২১ সালের শেষদিক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন দ্রুত ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হোক। বুধবার খিদিরপুরে ১৬ আনা মসজিদের গেট উদ্বোধন করে ইফতারের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন, দরকারে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে সরিয়ে পূর্ত দপ্তরকে দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের কাজ করেছি। জল্পেশ মন্দির, কঙ্কালীতলা, তারাপীঠ, বক্রেশ্বরে কাজ করে দিয়েছি। কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হতে এত দেরি হচ্ছে কেন?’’

[আরও পড়ুন: ভারতে আসা কোরিয়ার ব্লগার তরুণীকে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন! ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]

ফিরহাদ মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তিনি আজই (বুধবার) বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু তাতেও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ কমেনি। তিনি সোজা বলে দেন, “শুধু বৈঠক করে হবে না। ওদের সরিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে পূর্ত দপ্তরকে দিয়ে বাকি কাজ করাতে হবে।” সেই সঙ্গে তিনি মেয়রকে সন্ত রবি দাসের নামে একটি লঙ্গরখানা এবং প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করে দিতে অনুরোধও করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement