সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগাই-মাধাই-গদাই। একুশের ভোটের আগে পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপিকে এক সারিতে বসাতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোটে তথাকথিত সংযুক্ত মোর্চা শূন্য পেতেই বাম-কংগ্রেসের প্রতি নরম সুর শোনা যায় TMC নেত্রীর মুখে। বুধবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল নেত্রীর মুখে বাম তথা কংগ্রেস বিরোধিতায় একটি কথাও শোনা গেল না। যা বেশ অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে জাতীয় রাজনীতির নিরিখে।
আসলে একুশের বিধানসভা (West Bengal Assembly Election 2021) নির্বাচনের পর থেকেই দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরানোর টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্যে Congress এবং সিপিএমকেও তাঁর প্রয়োজন পড়তে পারে। তৃণমূল নেত্রী সেটা ভালই বোঝেন। সম্ভবত সেকারণেই এদিন বাম ও কংগ্রেসের বিরোধিতায় তেমন শব্দ খরচ করতে শোনা গেল না মমতাকে (Mamata Banerjee)। তাছাড়া, একুশের বিধানসভার পর এমনিতেও বাম ও কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। তাই তাঁদের নিয়ে অকারণ শব্দ খরচ না করে মূলত বিজেপিকেই টার্গেট করেছেন মমতা। বুধবার তৃণমূল নেত্রীর একুশে সমাবেশের ভাষণ শুনতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন পি চিদম্বরম (P Chidambaram) এবং দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের উপস্থিতিতে এমনিও কংগ্রেস নিয়ে কিছু বলা সম্ভব ছিল না মমতার পক্ষে।
[আরও পড়ুন: ২০২৪ পর্যন্ত Congress সভানেত্রী সোনিয়াই? বড় পদ পেতে পারেন পাইলট-আজাদ]
আসলে, রাজ্য রাজনীতিতে শক্তি না থাকলেও জাতীয় রাজনীতিতে বাম এবং কংগ্রেস দুই শিবিরই এখনও উল্লেখযোগ্য শক্তি। নয় নয় করে এখনও অন্তত গোটা দশেক ছোট-বড় রাজ্যে সরাসরি লড়াই কংগ্রেস এবং বিজেপির। সিপিএমও কেরল এবং ত্রিপুরার নিরিখে এখনও প্রাসঙ্গিক। কেরলে তারা সদ্যই ক্ষমতায় ফিরেছে। ত্রিপুরায় এখনও প্রধান বিরোধী দল তারাই। এছাড়া সদ্য বিহার নির্বাচনেও ভাল ফল করেছে বামেরা। সম্ভবত সেকারণেই একুশের মঞ্চে সেভাবে বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে শোনা গেল না তৃণমূল নেত্রীকে। উলটে পরোক্ষে বামেদের এবং কংগ্রেসকে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টে স্বাগত জানালেন মমতা। জানিয়ে দিলেন, করোনা কমলে যে ব্রিগেড সমাবেশ তিনি করবেন, তাতে কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কেরলের পিনারাই বিজয়নকে স্বাগত জানানো হবে।