স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার হস্তশিল্পীদের তৈরি জিনিস বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বিভিন্ন হাট-মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ তা কিনছেন। বর্তমান সরকারের আমলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যেকারণে হয়েছে আর্থিক সমৃদ্ধি। সোমবার বিধানসভায় এক প্রশ্নোত্তরপর্বে একথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের হস্তশিল্প আমাদের সম্পদ। মেলায় যত খুচরো বিক্রি বাড়বে তত ভালো হবে। আমাদের হস্তশিল্পীদের জিনিস বিভিন্ন শপিং মল কিনছে। অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বাইরেও যাচ্ছে।’’
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রকল্পের উন্নয়নে রাজ্যে প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, “আমি নিজে দেখেছি লক্ষ লক্ষ মানুষ হস্তশিল্প মেলায়। আমাদের হাতের শিল্প আমাদের সম্পদ। যত খুচরো বিক্রি বাড়বে। তত ভালো হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী আজ অনেক কাজ করছে। এটা আমাদের সেরা গ্রুপ। আমাদের ইকোনমি গ্রোথ বেড়েছে। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে অনেক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ অনেক চাকরি হচ্ছে। খুব ভালো কাজ হচ্ছে৷ প্রশিক্ষণ দেওয়ায় আমরা দেশে এক নম্বর।” শুধু মহিলারা নন, পুরুষরাও যে এই গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করছেন, সেকথাও এদিন উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আমরা ক্ষমতায় এসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। আগের সেল্ফ হেল্প গ্রুপে যে সংখ্যক মহিলা যুক্ত ছিলেন, এখন তা আরও বেড়েছে। পুরুষরাও সমান তালে করছেন। ২ হাজার কোটি বাম আমলে বিনিয়োগ ছিল। এখন ৯২ হাজার কোটি হয়েছে। সরকার সাহায্য করছে। পুরুষ ও মহিলার ভাগ দেখা হচ্ছে না। বাংলা এগিয়েছে। বাংলা মেলা দেখতে ভালোবাসে। পুজোই তার প্রমাণ। পুজোর সময় রাজ্যে ৮২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: জমি হাতাতে স্বামীকে চাপ! শিলিগুড়িতে মা-মেয়ের রহস্যমৃত্যুতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার]
পাশাপাশি এদিন রাস্তা তৈরির টাকা আটকে রাখার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘ আমরা কয়েকদিন আগে রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি করেছি। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমাদের সাংসদদের তহবিল থেকে ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মুনাফা থেকেও টাকা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে, কিছু রাস্তা আছে যেগুলো খারাপ। আরও টাকা এলে আমরা করব।’’ পাশাপাশি সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর ৯৫১টি সেতু তৈরি করেছি। যাতে খরচ হয়েছে ৭১৪২ কোটি টাকা। ২০১১ সালে সেখানে ১৬১টি ব্রিজ ছিল।’’