সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে সিএএ নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোচবিহারের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি। বললেন, “ভোট আসতেই ফের ক্যা ক্যা করছে।” তাঁর সাফ বার্তা, “সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে হবে না। সবাই নাগরিক। নাহলে কেউ ভোট দিতে পারতেন না।”
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব চরমে। প্রথম থেকেই সিএএ’র বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের বক্তব্য, সকলেই নাগরিক। নাহলে তাঁরা ভোট দিতে পারতেন না। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব জারি। এরই মাঝে গতকাল অর্থাৎ রবিবারই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে লাগু হবে সিএএ। তাঁর যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রী বারবার সকলের ভোটাধিকার রয়েছে বলে দাবি করলেও মতুয়াদের অনেকেই নাকি ভোট দিতে পারেন না। শান্তনু ঠাকুর বলেন, সিএএ হলে মতুয়ারা যোগ্য সম্মান পাবে।
[আরও পড়ুন: ‘খুনে’র শাস্তি! ১০০ বছরের জন্য শিকলবন্দি গাছ! বাংলার কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?]
লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোট টানতেই সিএএ-কে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সোমবার কোচবিহারের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে এমনই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “ভোট এগিয়ে আসতেই ক্যা ক্যা শুরু করেছে। সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে হবে না। এনআরসি হবে না। ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ফের বলেন, “সবাই নাগরিক। তাই সবাই ভোট দিতে পারেন। নাগরিক না হলে ভোটাধিকার থাকত না।” রাজনীতি করতেই ভোটের আগে সিএএ ইস্যুতে তোলা হচ্ছে বলেই দাবি করলেন মমতা। প্রসঙ্গত, বনগাঁ, রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর-রাজ্যের এই তিনটি লোকসভা কেন্দ্র মতুয়া অধ্যুষিত। গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ, রানাঘাট নিজেদের দখলে রেখেছিল বিজেপি। সিএএ-কে হাতিয়ার করে আসন্ন নির্বাচনেও কি এই দুটি কেন্দ্র নিজেদের হাতে রাখতে বিজেপি? নাকি এগিয়ে যাবে তৃণমূল? সেদিকেই নজর সবমহলের।