প্রসূন বিশ্বাস: দীর্ঘ ১৯ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানলেন সুনীল ছেত্রী। অধিনায়কের বিদায়বেলায় আবেগে ভাসল যুবভারতী। জাতীয় দলের জার্সিতে আর তাঁকে দেখা যাবে না ঠিকই, তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, বাংলার ফুটবলের সার্বিক উন্নয়নের কাণ্ডারি হয়ে উঠুন সুনীল।
আজ যুবভারতীতে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামেন সুনীল। প্রতিপক্ষে কুয়েতের কাছে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শেষ হয় ম্যাচ। সেই লড়াইয়ের আগে ফোনে ভারত অধিনায়ককে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি এদিন। সেই জন্য আক্ষেপও করেন। তবে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মাঠে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ সংবর্ধনা জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর 'আবদারে'র কথা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ভরাল ভোট ভাণ্ডার, বাংলার ১৫ কেন্দ্রেই মহিলা ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা]
অরূপ বিশ্বাস বলেন, সুনীলকে বাংলা ফুটবলের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় যদি সুনীল কিছু করতে চান, তাহলে রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে। আজ ফোনে সুনীলের সঙ্গে কথা বলার সময় ভারত অধিনায়ককে এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর ফুটবল জীবন শুরু মোহনবাগানে। পরে খেলেছেন ইস্টবেঙ্গল ও ইউনাইটেড স্পোর্টসের হয়ে। ফলে ক্লাব ফুটবলের একটা বড় সময় কেটেছে কলকাতায়। এমনকী বাংলার জামাই তিনি। বাংলার প্রতি একটা আলাদা টান রয়েছে ভারতীয় স্ট্রাইকারের। ফুটবল নিয়ে এ শহরের আবেগের সঙ্গে পরিচিত সুনীল। তাই জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের অন্তিম ম্যাচের জন্য যুবভারতীকেই বেছে নিয়েছিলেন। এহেন সুনীলের কাছে তাই আবদার করেছেন মমতা। সুনীল যদি রাজ্যের ফুটবলের উন্নতিতে এগিয়ে আসেন, তাহলে সোনা ফলবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিনের ম্যাচে ভারতীয় দলে কোনও বাঙালি ছিলেন না। সুনীলের হাত ধরে হয়তো ফের ফিরতে পারে বাংলার সোনালি অধ্যায়।