বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী প্রার্থী দেওয়ার জল্পনার মধ্যেই দিল্লি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ই জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে হাজির হবেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিল্লিতে পা রাখলেই ঐক্যবদ্ধ বিরোধী প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া গতি পাবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে তিনিই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। এর আগে দিল্লিতে এসে তিনি রাষ্ট্রপতি ভোটে (Presidential Election) ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেওয়ার জন্য সলতে পাকানোর কাজও শুরু করেছিলেন। ফলে বিরোধী দলগুলিও তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের দিকে। এখনও পর্যন্ত খবর, ১৪ জুন তথা আগামী মঙ্গলবারই তিনি দিল্লি আসবেন। ইতিমধ্যে একাধিক বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে। মমতা দিল্লিতে এলেই বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানোর ছবিটি আরও স্পষ্ট হবে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও (Sonia Gandhi)। তিনি ঠিক করেছেন, প্রাথমিকভাবে রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে কথা বলবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে মমতার মতো হেভিওয়েট নেত্রীর সঙ্গে সোনিয়া নিজেই কথা বলবেন বলে এআইসিসি সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: এসব বরদাস্ত করা হবে না, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হাওড়ার হিংসা রুখতে কড়া বার্তা মমতার]
বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের আন্তরিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগকে সমর্থন করেছেন দক্ষিণ ভারতের দুই অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ও পিনারাই বিজয়ন। প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই কথা বলেছিলেন। সোনিয়ার নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতেই এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনিও শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন বলে এআইসিসি সূত্রে খবর।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাম রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে এগিয়ে দিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি আর। দিল্লিতে এক কংগ্রেস নেতা জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই বিরোধীদলের নেতাদের চিঠি দেবেন কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী। দিল্লিতে অবিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠকেরও তিনি মূল উদ্যোক্তা। ’২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সোনিয়া রাষ্ট্রপতি ভোটকে সামনে রেখে বিরোধী নেতৃত্বের রাশ নিজের হাতে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা। যদিও বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভরসা করছেন সবাই। মমতা দিল্লি এলেই তাই বিরোধী জোটের ছবি স্পষ্ট হবে বলে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মত।