সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তখনও কলকাতায়। অনুপ্রবেশ, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করছেন। এরই মধ্যে শাহী দপ্তরে আছড়ে পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্রবোমা। ভারতীয় দণ্ডবিধি সংশোধন করতে সংসদে যে তিনটি নতুন আইন আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্র, সেই বিল নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কীসের? প্রশ্ন তুললেন মমতা।
ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা বদলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট এই তিন আইনের বদলের জন্য বিল পেশ হয়েছে সংসদে। ১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি এবার হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সিআরপিসি (CrPC) বদলে গিয়ে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বদলে হবে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। সেই বিল ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: DA বাধ্যতামূলক নয়, বাড়তি ছুটি তো পাচ্ছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কড়া বার্তা মমতার]
এই তিন বিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন। এবার শাহের বঙ্গ সফরের মধ্যেই চিঠি দিলেন তিনি। মমতার বক্তব্য, “এই তিন বিল ভারতের সামগ্রিক নীতির উপর শুধু প্রভাব ফেলবে, তাই নয়। ভারতের জনজীবনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব অবধারিতভাবেই পড়বে। এই তিনটি বিলটি নিয়ে সব পক্ষে সঙ্গে যতবেশি সম্ভব আলোচনা করা উচিত।” মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আইনজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী, সাধারণ মানুষ সবার এ ব্যাপারে মত নেওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: বঞ্চিতদের বকেয়া মেটানোর টাকা কোথায় পেলেন অভিষেক? জবাব দিলেন মমতা]
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই।তাই তাড়াহুড়ো না করে লোকসভার পরই বিলটি নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এগোনো উচিত। তাড়াহুড়ো করে শীতকালীন অধিবেশনে যেন এ সংক্রান্ত বিল পাশের চেষ্টা না করা হয়।