তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: নিজের প্রেমিকাকে (Girlfriend) খুন করে দেহ মাটির তলায় পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার চার মাস পর উদ্ধার দেহ। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ায় শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তরুণী আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের তরফে শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তরুণী। ওই যুবকের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মহম্মদ আকতার নামে ওই যুবক শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বাসিন্দা। তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার।
[আরও পড়ুন: স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে আত্মঘাতী স্বামী, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
এরপরই পুলিশ তাকে জেরা করে। প্রথমে যদিও প্রেমিকার কোনও খোঁজ জানে না বলেই দাবি করে ওই যুবক। তবে একটানা জেরায় সে ভেঙে পড়ে। পুলিশকে জানায়, প্রথম দিকে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। সময় যত এগোচ্ছিল, ততই সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছিল। প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। মাসচারেক আগে ঝগড়াঝাটি চলাকালীন ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য রেললাইনের ধারে একটি জঙ্গলে দেহ পুঁতে রেখেছিল।
পুলিশের দাবি, অপরাধ কবুল করার পরই অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। তরুণীর শরীরের বেশিরভাগ অংশই পচে গিয়েছে। এদিন তার দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তরুণীর দেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর মা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির এই ঘটনাই আরও একবার আকাঙ্ক্ষা শর্মা হত্যাকাণ্ডের কথাই যেন সকলকে মনে করিয়ে দিল। বাঁকুড়ার তরুণী আকাঙ্ক্ষাকেও খুন করে ভোপালের সাকেতনগরে নিজের বাড়িতে সিমেন্টের বেদির নিচে পুঁতে রেখেছিল প্রেমিক উদয়ন দাস (Udayan Das)। এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা হয় দোষীর।