অর্ণব আইচ: এটিএম, পেটিএম জালিয়াতিও পুরনো হয়ে গিয়েছে তাদের কাছে। এবার কিউআর কোড বা বার কোডে জালিয়াতিতে নামল জামতাড়া। কিউআর কোড জালিয়াতি করে প্রায় এক লাখ টাকা জালিয়াতি হয়েছে। এই বিষয়ে পূর্ব কলকাতার আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি অনলাইন বিপণিতে জিনিস কেনাবেচার জন্য ওই এলাকারই এক বাসিন্দা ই-ওয়ালেটে টাকা মেটাতে যান। তিনি সার্চ ইঞ্জিনে ওই ই-ওয়ালেট খুলতেই তাঁর কিউ আর কোড ব্যবহার করে টাকা মেটাতে। তাঁর মোবাইলে একটি কিউআর কোড পাঠানো হয়। সেই কোডটি স্ক্যান করার পর দেখা যায়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বলা হয়, ওই লেনদেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে আরও একটি কোড পাঠানো হচ্ছে। সেটিকে স্ক্যান করতে বলা হয়। ওই ব্যক্তি সেটিকে স্ক্যান করা মাত্রই মোট ৯৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। এরপর দেখা যায়, যে দু’টি নম্বর থেকে তাঁকে কিউ আর কোডগুলি পাঠানো হয়েছিল, সেগুলি সুইচড অফ। এর পরই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
[ আরও পড়ুন: নেতাজির মূর্তির হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বিতর্ক, CAA ইস্যুতে দল ছাড়ছেন অসন্তুষ্ট চন্দ্র বসু! ]
পুলিশের মতে, এই পদ্ধতিটি কিছুটা হলেও অভিনব। এর পিছনেও জামতাড়ার জালিয়াতরা রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। কারণ, ভুয়া ই-ওয়ালেটের ওয়েবসাইট তারাই তৈরি করে। যিনি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন, তিনি সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে ওই ই-ওয়ালেটে টাকা না মিটিয়ে যদি সরাসরি তার ওয়েবসাইটে ঢুকতেন, তাহলে হয়তো প্রতারিত হতে হত না তাঁকে। এদিকে, গড়ফায় এটিএম কার্ডের তথ্য ও ওটিপি জেনে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৯ টাকা জালিয়াতি করা হয়েছে। যাদবপুরে এক মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতরা তুলে নিয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। ঘটনাটিগুলির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনে আজও বিনা পয়সায় তেলেভাজা বিলি করে শহরের এই দোকান ]
The post কিউআর কোড পাঠিয়ে নতুন জালিয়াতি, এক লক্ষ টাকা খোয়ালেন আনন্দপুরের বাসিন্দা appeared first on Sangbad Pratidin.