সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিঙ্গে চিড়। তাও আবার লম্বালম্বি বা উল্লম্বভাবে। বিশ্বে এই প্রথম এমন কোনও ঘটনা ঘটল চিকিৎসা জগতের ইতিহাসে। যার শিকার ব্রিটেনের এক ব্যক্তি। যদিও ভাঙার সময় তিনি কোনও আওয়াজ শুনতে পাননি। কারণ তিনি যৌন মিলনে ব্যস্ত ছিলেন। পরে ধীরে ধীরে তাঁর সক্ষমতা কমতে থাকায় চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। তখনই বিষয়টি সামনে আসে। তবে ৪০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে।
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, লিঙ্গে কোনও হাড় থাকে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও লিঙ্গে ভাঙন (catastrophic physical trauma) বা ফ্র্যাকচার সম্ভব। ‘ইরেক্টাইল টিস্যু’গুলি রক্ষা করার জন্য যে প্রতিরোধমূলক স্তর থাকে, তা কোনও অস্বাভাবিক রকমের মিলন ভঙ্গিমায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে এমনটা সম্ভব। ‘ইরেক্টাইল টিস্যু’ লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
[আরও পড়ুন: দুই ছেলের সঙ্গে বসেই নিয়মিত পর্ন ভিডিও দেখেন এই পপ তারকা, কেন জানেন?]
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর আগে বিশ্বে যে সমস্ত ‘পেনাইল ফ্র্যাকচার’-এর ঘটনা ঘটেছে, সবই ‘হরাইজেন্টাল’ বা আনুভূমিক। আনুভূমিক বা আড়াআড়িভাবে ফ্র্যাকচার হলে একটা শব্দ শোনা যায়। এক্ষেত্রে সেই শব্দও শোনা যায়নি। দ্বিতীয়ত, আড়াআড়ি ফ্র্যাকচার হলে তার প্রায় পরে পরেই যৌন সক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু এই ঘটনায় তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। পাশাপাশি, আঘাত লাগার পর ওই ব্যক্তির লিঙ্গ ফুলেও ওঠে। পরে এমআরআই করে দেখা যায়, তাঁর লিঙ্গের ডানদিকে প্রায় তিন সেন্টিমিটার ‘লম্বালম্বি চিড়’ ধরেছে বা ছিঁড়ে গিয়েছে। অবশ্য চিকিৎসার পর ছ’মাসের মধ্যে তিনি আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছেন বলে কেস স্টাডিতে জানানো হয়েছে।
ইউরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, ‘পেনাইল ফ্র্যাকচার’-এর ৮৮.৫ শতাংশই ঘটে যৌন মিলনের সময়। এছাড়াও হস্তমৈথুন, ঘুমের অস্বাভাবিক ভঙ্গি এবং তাকান্দেনের (জোর করে লিঙ্গ বাঁকানো) ফলে এমন ঘটতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে আগে তাকান্দেনের প্রথা ছিল।