স্টাফ রিপোর্টার: ১৮ বছর পর সাজা ঘোষণা। শ্লীলতাহানির শাস্তিস্বরূপ সারাদিন আদালত চত্বরে বসে রইল দোষী। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত আদালত চত্বরে তাকে একইভাবে বসে থাকতে দেখলেন সকলে। কারণ, শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগের ১৮ বছর পর দোষীকে এই সাজাই দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দোষীর নাম শেখ সাহিদ কুরেশি। ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটেছিল। মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় এক যুবতী ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সুযোগ পেয়ে সাহিদ কুরেশি নামে ওই যুবক তাঁর শ্লীলতাহানি করে। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় কুরেশি। যদিও জামিনও পেয়ে গিয়েছিল সে।
[আরও পড়ুন: ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর গুজবে তোলপাড় নেটপাড়া, কেমন আছেন অভিনেত্রী?]
আদালতের সূত্র জানিয়েছে, অনেক সময়ই শ্লীলতাহানির মতো মামলার চার্জশিট দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষী ও তথ্যপ্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত সাজা পায় না। কিন্তু কুরেশির ক্ষেত্রে তা হয়নি। দেড় দশকেরও বেশি সময় পর সাজা পেল দোষী। অভিযুক্ত কুরেশির বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ সময়মতো চার্জশিট পেশ করে। চার্জগঠনের পর শুরু হয় মামলা। পুলিশ শ্লীলতাহানির ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে জোগাড় করে সাক্ষীও।
এর পর কেটে গিয়েছে ১৮ বছর। ওই যুবতীর বয়স বেড়েছে। অভিযুক্ত যুবকও প্রায় মধ্যবয়স্ক। কিন্তু এতদিন পরও মামলা তাঁর পিছু ছাড়েনি। শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্কশাল আদালত কুরেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে। সাজা ঘোষণা করে আদালত। এই মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন মৃন্ময় মিত্র। আদালত দোষীকে দু’হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়াও আদালতের নির্দেশ, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালতের হেফাজতেই দোষী কে থাকতে হয়। বুধবার সকালে কুরেশিকে আসতে হয় আদালতে। বিচারকের নির্দেশে সন্ধ্যা পর্যন্ত, যতক্ষণ না আদালতের কাজ সমাপ্ত হয়, ততক্ষণ আদালত চত্বরেই বসে থাকতে হয় দোষী তাকে।