অর্ণব আইচ: অনড় ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে সিজিও কমপ্লেক্সে তাপস মণ্ডল। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য পাওয়া যায়, তার উপর নির্ভর করছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি।
বুধবার ইডি দপ্তরে ই-মেল করেছিলেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mandal)। জানিয়েছিলেন, তিনি বর্তমানে ভিনরাজ্যে রয়েছেন। তাই কোনওভাবেই বৃহস্পতিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ইডি তাপসকে সময় দিতে নারাজ। বৃহস্পতিবারই হাজিরা দিতে হবে বলে সাফ জানান আধিকারিকরা। সেই মতো বেলা বারোটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তাপস মণ্ডল। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে তাঁকে। তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য পাওয়া যায় সেদিকেই নজর সকলের।
[আরও পড়ুন: উল্টোডাঙায় যকের ধন! ব্যবসায়ী আমির খানের সঙ্গীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ দেড় কোটি]
প্রায় বছর কুড়ি আগে বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠোর রোডের দেবীপুরের একটি টিনের চালাঘরে স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন তাপস মণ্ডল। ২০১১ সালের পর এই বাড়ির অদূরেই কামাখ্যা বালক আশ্রমের পাশে জমি কিনে আরেকটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেন তিনি। এলাকাবাসীর সঙ্গে তাপস মণ্ডলের পরিবারের খুব একটা মেলামেশা ছিল না। ইদানীং তাপস নিয়মিত বাড়িতে থাকতেন না। গত শনিবার ইডি প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে তাপসের স্ত্রী, ছোট ছেলে পুত্রবধূকে জেরা করে। তাঁর বারাসতের বাড়িতেও চলে জোর তল্লাশি। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয় বলে তল্লাশির শেষে জানান এক ইডির আধিকারিক।
ওইদিনই কলেজ স্কোয়ার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, রাজাবাজার, মহিষবাথান, বারাসত, কৈখালি-সহ আটটি জায়গায় অভিযান চালায়। নিউটাউনের মহিষবাথান ও কলেজ স্কোয়ারে তাপস মণ্ডলের দু’টি অফিসেও চলে জোর তল্লাশি। সব জায়গায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের ক্লাস নেওয়া হত বলে খবর। ইডি’র অভিযোগ, কেন্দ্রগুলি তৈরির ব্যাপারে তাপসবাবুকে সম্পূর্ণ মদত জোগান মানিক ভট্টাচার্য নিজেই। সেই সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে তাপসকে হাজিরার নির্দেশ দেয় ইডি।