সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা টিকা নেওয়ার পর নরওয়েতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন ২৩ জন। আর সেই কারণেই ভারতকে ভ্যাকসিন নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, কোভ্যাক্সিন কার্যকর হলে কেন তা নিতে অস্বীকার করছেন চিকিৎসকদের একাংশ?
শনিবারই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়েই সূচনা হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযান। টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে কোভ্যাক্সিনও। কিন্তু এখনও তা ট্রায়ালে থাকায় সেটি নিয়ে নানা মতভেদ ও বিরোধিতা রয়েছে। তাছাড়া দুটি টিকাকেই ‘বিজেপির টিকা’ বলে কটাক্ষ করে আসছে কংগ্রেস। এর কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বারবার। পালটা বিজেপি দাবি করেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করছে বিরোধীরা। এতে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অপমান করা হয়েছে বলেও সুর চড়ায় গেরুয়া শিবির। তাতেও আক্রমণ থামেনি বিরোধীদের। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নরওয়ের ঘটনা মনে করিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মণীশ তিওয়ারি। বলে দেন, টিকা নিয়ে তাঁদের সন্দেহ প্রকাশের কারণ কাল্পনিক নয়, অত্যন্ত বাস্তব।
[আরও পড়ুন: বিনামূল্যে টিকা পাবেন রাজ্যবাসী, খরচ দিতে প্রস্তুত সরকার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যতই করোনা ভ্যাকসিনকে ‘সঞ্জীবনী’ বলে ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানীদের জয়গান করুন না কেন, মণীশ তিওয়ারি বলে দিচ্ছেন, “ভয় দেখানোর জন্য আমরা টিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। দেখুন না নরওয়েতে কী হল। দেশের টিকা হয়তো আলাদা। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদের বুলির আড়ালে টিকা সংক্রান্ত কোনও তথ্য লুকোবেন না।” তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও টিকার সুরক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি কোভ্যাক্সিনকে জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা, শশী থারুরও।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে করোনার গণ টিকাকরণের প্রথমদিন ১ লক্ষ ৯১ হাজার ১৮১ জন কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হল। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর অবশেষে আজ ভারতের অত্যন্ত স্বস্তির দিন। বলছেন হর্ষ বর্ধন।