সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি (Hindi) বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্কে সরগরম দেশ। কিছুদিন আগেই নতুন করে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির (Hindi) পক্ষে সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) আঞ্চলিক ভাষায় জোর দেওয়ার কথাই বললেন। তাঁর কথায় উঠে এল পুরুলিয়ার অধ্যাপক শ্রীপতি টুডুর কথা।
প্রতিমাসের শেষ রবিবার ‘মন কি বাতে’ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ছিল ৮৯তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া নিয়েও বক্তব্য রাখেন মোদি। তিনি সকলের কাছে আরজি রাখেন, তাঁদের এলাকায় মহিলাদের যে সব স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করছে তাদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করার। এবং সম্ভব হলে ওই গোষ্ঠীগুলির তৈরি সামগ্রী ব্যবহার করার। এপ্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর গ্রামের এক মহিলার লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: নকল লিঙ্গ ব্যবহার করে ৩ তরুণীর সঙ্গে সঙ্গম! যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের প্রতারণার মামলা]
দেশের বৈচিত্র নিয়েও কথা বলেন মোদি। আর এ প্রসঙ্গেই উঠে আসে আঞ্চলিক ভাষার প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ”আমাদের দেশে ভাষা, উপভাষা ও লিপির বিপুল গুপ্তধন রয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের নানা পোশাক, খাদ্য ও সংস্কৃতির সমাহারই আমাদের পরিচয়। এই বৈচিত্রই দেশ হিসেবে আমাদের শক্তিশালী করে তুলেছে। এবং একতায় বেঁধে রেখেছে।”
আর এই ভাষার প্রসঙ্গেই মোদি উল্লেখ করেন শ্রীপতি টুডুর কথা। সাঁওতালিদের জন্য অলচিকি লিপিতে দেশের সংবিধান অনুবাদ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী টুডুর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, দেশে বহু মানুষ ভাষার বৈচিত্রকে আরও শক্তিশালী করতে নিয়মিত কাজ করে চলেছেন।
মোদি অবশ্য এর আগেও আঞ্চলিক ভাষার উপরে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নিজের ভাষণেও তিনি এমন কথা বলেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিজেপির দাবি, হিন্দি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ফের আঞ্চলিক ভাষার বৈচিত্রের কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর কথায়।