সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাত নয়। বরং কাশ্মীরের নতুন সরকারের সঙ্গে শুরুতেই সহযোগিতার বার্তা দিলেন রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে যে প্রস্তাব ওমর আবদুল্লার মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছিল, তাতে সায় দিয়ে দিলেন উপরাজ্যপালও। যার অর্থ, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা অবিলম্বে ফেরা উচিত বলে মনে করছেন, ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন্দ্রের তরফের প্রধান প্রতিনিধিও।
জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের একদিন পরই জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সচেষ্ট হন নতুন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে কাশ্মীরের মন্ত্রিসভায় বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাব পাশ করান তিনি। সেই প্রস্তাব নিয়ে ওমর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হবেন। তবে তাঁর আগে প্রস্তাবটিতে উপরাজ্যপালের সম্মতির প্রয়োজন ছিল।
কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহাই এতদিন বকলমে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির শাসনভার চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে এতদিন তিনি বিশেষ আমল দেননি। তাই এই প্রস্তাবে তিনি সম্মতি দেন কিনা, সেটাই দেখার ছিল। শেষমেশ তিনি ওমরের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েই দিলেন। যার অর্থ, এখনই কাশ্মীরের নতুন সরকারের সঙ্গে কোনওরকম সংঘাতে যেতে চাইছেন না তিনি। মনোজ সিনহা ছাড়পত্র দেওয়ায় এবার কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেয় কেন্দ্র। ৩৭০ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উপত্যকায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।