সুমন করাতি, হুগলি: সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার আক্রমণের পর অবশেষে ভোলবদল। জেলাপরিষদের সদস্য রুনা খাতুনের কাছে ক্ষমা চাইলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ডিলিট করলেন অশ্লীল শব্দে ভরা ফেসবুক পোস্টও।
মনোরঞ্জন এবং রুনার মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিলই। তবে তা প্রকাশ্যে আসে বুধবার। ওইদিনই সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেন বিধায়ক। ‘বিদ্রোহী’ ব্যাপারী রুনাকে ‘ফুলন দেবী’ বলে তোপ দাগেন। ওই পোস্টেই নাম না করে একজনের বিরুদ্ধে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশও করেন। এর পরই আসরে নামেন রুনা। বিধায়কের সঙ্গে বাকতরজায় জড়িয়ে পড়েন। মামলা লড়ার জন্য প্রয়োজনে বিধায়ককে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেন। রুনা আরও বলেন, “আমি একজন শিক্ষিকা। আপনি কাদা ছুড়তে পারেন। আমি সন্দেশ দিলাম।”
[আরও পড়ুন: জিআই তকমায় উজ্জ্বল কালোনুনিয়া চাল থেকে কড়িয়াল শাড়ি, বাংলার মধু-টাঙ্গাইল-গরদকেও স্বীকৃতি]
এই টানাপোড়েনের মাঝে মনোরঞ্জন ব্যাপারীর জিরাটের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। বিধায়কের দাবি, তাণ্ডবের নেপথ্যে রয়েছেন রুনা। “এবার খেলা জমে যাবে”, বলে হুঁশিয়ারিও দেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য। এ পর্যন্ত মোটের উপর ঠিকই ছিল। তবে তার কিছুক্ষণ পর সোশাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট করেন মনোরঞ্জন। ছাপার অযোগ্য ভাষায় রুনা খাতুনকে আক্রমণ করেন। এই পোস্টটি তিনি ডিলিট করেন ঠিকই।
যদিও রুনার দাবি, ডিলিট করে দিলেও পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রুনা। ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। বলেন, “আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। সেই পোস্ট লেখার দশ-কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে বুঝতে পারি মস্ত বড় ভুল হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিই।” এদিকে, তৃণমূল বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্বের মাঝে জিরাট হাসিমপুর, হসপিটাল রোড, আহমেদপুর হয়ে বিরাট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রুট মার্চ করল পুলিশ এবং ব়্যাফ।
দেখুন ভিডিও: