স্টাফ রিপোর্টার: ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর তদন্তে শুক্রবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ জমা পড়ল৷ তদন্তে প্রমাণিত, রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায় জখম সঞ্জয় রায়ের৷ তবে অভিযোগ, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় সঠিক ব্যবস্থা নেয়নি অ্যাপোলো৷ এছাড়াও চারবার মেজর অ্যানাস্থেসিয়া করে অপারেশনের কথা বিলে উল্লেখ করা হলেও আদপে একবারই লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়েছিল৷ বিলিং বাড়াতে তথ্যে বিকৃতিও করা হয়েছে৷ অ্যাঞ্জিও এমবলিজম করাও হয়নি৷ অথচ বিলে সেই সব পরীক্ষার জন্য অনেক বেশি পরিমাণে টাকা নেওয়া হয়েছিল৷ মূলত আট থেকে দশজন চিকিৎসক ও বিলিং স্টাফ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ফলে নজরে রয়েছেন৷ তদন্তের স্বার্থে গঠিত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট প্রথমে জমা পড়ে স্বাস্থ্য দফতরে৷ তার পরেই রিপোর্ট আসে নবান্নে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিপোর্ট হাতে পেয়েই উচ্চ পর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেন৷
(‘অসহিষ্ণুতা’র পাঠ, ১২৫টি স্কুলকে নোটিস পাঠাল শিক্ষা দফতর)
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে ফুলবাগান থানায় ডাকা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালের চার চিকিৎসককে৷ এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি স্বাস্থ্য সচিব রাজেন্দ্রশঙ্কর শুক্লার কাছে রিপোর্ট জমা দেন৷ পরে সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিয়ে আসেন স্বাস্থ্যসচিব৷ সূত্রে খবর, বিলিং, তথ্য বিকৃতি-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে৷ কিছু চিকিৎসক ও বিলিং স্টাফেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে৷ অ্যাঞ্জিও এমবলিজম করার কথা বিলে উল্লেখ থাকলেও তা করাই হয়নি৷ এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, চারবার মেজর অ্যানাস্থেসিয়া করে অপারেশনের কথা বলা হলেও আসলে একবারই লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া করা হয় বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷
The post অ্যাঞ্জিও না করেই বিল করে অ্যাপোলো, মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট তদন্ত কমিটির appeared first on Sangbad Pratidin.