সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দিদশা’ যেন কিছুতেই কাটছে না কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতির (Mehbooba Mufti)। ফের তাঁকে গৃহবন্দি করার অভিযোগ উঠল কাশ্মীর প্রশাসনের বিরুদ্ধে। টুইটে নিজেই এই অভিযোগ করেছেন মুফতি। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি।
দিনকয়েক আগেই তালিবানের আফগানিস্তান দখলের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মেহেবুবা। মঙ্গলবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে ফের আফগানিস্তান প্রসঙ্গ তুলে আনলেন তিনি। পিডপি (PDP) নেত্রীর বক্তব্য,”ভারত সরকার আফগানিস্তানের (Afghanistan) নাগরিকদের মানবাধিকার নিয়ে এত উদ্বিগ্ন। অথচ, কাশ্মীরে নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।”
[আরও পড়ুন: গত ৬-৭ বছরে অকল্পনীয় উন্নতি করেছে দেশ, ‘শিক্ষক পর্বে’র সূচনায় দাবি মোদির]
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখেছে কাশ্মীর পুলিশ। কারণ হিসাবে নাকি তাঁকে বলা হয়েছে, উপত্যকার পরিস্থিতি এই মুহূর্তে একেবারেই স্বাভাবিক নয়। মেহেবুবা বলছেন, এতেই বোঝা যায়, কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর যে দাবি কেন্দ্র করেছিল, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। আসলে দিন কয়েক আগেই কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তর কাশ্মীরে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভবত সেকারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে মেহেবুবার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদিও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: নৃশংস! বরুণদেবকে তুষ্ট করতে ৬ নাবালিকাকে নগ্ন করে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম!]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (Special Status) প্রত্যাহার করার করার ঠিক আগে আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা-সহ একাধিক স্থানীয় নেতানেত্রীকে আটক করে সরকার। পরে তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ২০২০ অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরও একাধিকবার সাময়িকভাবে গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁকে।