জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নিজের পুরুষাঙ্গ নিজেই কেটে ফেললেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। ছুঁড়ে ফেলে দিলেন বাড়ির পাশের জঙ্গলে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বনগাঁর (Bangaon) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর নাম শ্যামল মুন্ডা। গত ৬ মাস ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন পাল্লা আদিবাসী পাড়ার ওই বাসিন্দা। মানসিক ভারসাম্যহীনতার জেরেই শ্যামল এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পরিবারের।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে স্বস্তি নেই’, কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের]
ঠিক কী ঘটেছিল? শ্যামল মুন্ডার ভাই নির্মল মুন্ডা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে তিনি দেখতে পান শৌচাগারে রক্ত পড়ে রয়েছে। যা দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি তাঁর মায়ের কাছে জানতে চান, কেন শৌচাগারে রক্ত। সেই সময়ই তাঁদের আশঙ্কা হতে থাকে, শ্যামল কোনও অনর্থ ঘটিয়েছেন কিনা।
সেই আশঙ্কাই সত্য়ি হয় শ্যামলকে জিজ্ঞাসা করতেই। তিনি জানিয়ে দেন, নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে দিয়েছেন জঙ্গলে। পরিবারের সকলের অনুমান শ্যামল বাড়ির রান্নার বঁটি দিয়েই ওই ‘কাণ্ড’ করেছেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল ঠিকানা থাকতেও মুম্বইতেই নতুন ফ্ল্যাট নিলেন বিরুষ্কা, জানেন ভাড়া কত লক্ষ টাকা?]
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা খুব বিরল নয়। সাধারণত যৌনাঙ্গের কেশ কাটার সময় অনেক সময়ই ভুলবশত সেখানে কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটতেই পারে। আবার অনেক সময় প্রতিহিংসাবশত অন্যের হাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষাঙ্গে চোট পাওয়ার ঘটনা ঘটার নিদর্শন মেলে। কিন্তু নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই এমন কাজ করে ফেলেছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সাধারণত মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা ব্যক্তিরা অনেক সময়ই অন্যকে আক্রমণ করেন। যেহেতু তাঁদের নিজের মনের উপরে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তাই অনেক সময়ই তাঁরা নিজেদের শরীরকেও নিশানা করেন।