সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন একসঙ্গে থাকলেই সেই সম্পর্ককে লিভ-ইনের (Live-In Relationship) তকমা দেওয়া যাবে না। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্ট (High Court) এই মন্তব্য করেছে। এক যুগল নিজেদের পরিবারের সদস্যদের থেকে নিরাপত্তা চাইতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা লিভ-ইন করছিলেন।
বিচারপতি মনোজ বাজাজ শুনানির সময় জানিয়েছেন, কয়েকদিন একসঙ্গে থাকলেই সেটা লিভ-ইন নয়। তাঁর এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোন ক্ষেত্রে লিভ-ইন বলা যাবে? এব্যাপারে আদালতের পর্যবেক্ষণ, একসঙ্গে থাকার পাশাপাশি কিছু দায়বদ্ধতাও থাকে প্রতিটি সম্পর্কের। এক্ষেত্রেও তা রয়েছে। যদি একসঙ্গে থাকার সময় পারস্পরিক দায়িত্বপালন করে যৌথ জীবন যাপন করেন তাঁরা, তবেই বিয়ের মতো আরেকটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায় লিভ-ইন।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ ও করোনা ছড়িয়েছে তবলিগি জামাত! বিতর্কিত ভিডিওর জন্য গ্রেপ্তার ইউটিউবার]
হরিয়ানার যমুনানগরের বাসিন্দা ওই যুগলের অভিযোগ ছিল, তরুণীর পরিবারের তরফে আপত্তি করা হচ্ছে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে। বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সুরক্ষা চান। ওই যুগলের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তরুণের বয়স ২০ বছর। তরুণীর বয়স ১৮ বছর। তাঁরা আরেকটু সময় চান। তারপরই তাঁরা বিয়ে করবেন। আপাতত তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা কেন নিলেন তাঁরা?
এপ্রসঙ্গে তাঁদের আইনজীবী জানাচ্ছেন, মেয়েটির বাড়ির লোক মেনে নেয়নি তাঁদের সম্পর্ক। তখনই ওই তরুণী পালিয়ে গিয়ে তরুণের সঙ্গে থাকা মনস্থ করেন। এরপরই তরুণীর বাড়ির লোক হুমকি দেয়, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে ওই তরুণকে।
কিন্তু মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়ে দেয়, এই সম্পর্ককে লিভ-ইন বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ওই দম্পত্তিকেই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাই কোর্ট।