দেবব্রত মণ্ডল: রাজনৈতিক হানাহানি থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এক অভিনব পন্থা গ্রহণ করল এক ফ্যান ক্লাবের একদল সদস্য। দেয়াল লিখনের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে শান্তি বজায় রাখার। লোকসভা নির্বাচনের(Lok Sabha Election 2024) দামামা বেজে গিয়েছে অনেক আগেই। এর আগে বিভিন্ন নির্বাচন-সহ লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা বিরোধীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে। এবার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের ক্যানিং পশ্চিমের বাঁশড়া তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি সিরাজউদ্দিন দেওয়ানের দেওয়াল লিখনে দেখা গেল শান্তির বার্তা। যা এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।
শুধু দেওয়াল লিখনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি এই তৃণমূল নেতা। তিনি এমন দেওয়াল লিখন সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছেন। তৃণমূল নেতার এমন মানবিক মনোভাবকে বিরোধীরা সমর্থন করে কেউ কেউ প্রশংসাও করেছেন। নির্বাচনী প্রচারের জন্য লেখা হয়েছে, “ভোট আসবে, ভোট যাবে। আপনার প্রাণ গেলে আর ফিরবে না! নেতাবাবু কিন্তু সুখেই থাকবে। তাই ভোটের জন্য মারামারি করবেন না।” আবার কোথাও রয়েছে “রাজনীতি করুন, নিজ নিজ নীতি আদর্শ প্রচার করুন, ক্ষতি নেই। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে প্রতিবেশী, গুরুজন, বন্ধু, সহ-নাগরিক ইত্যাদি সম্পর্কগুলো ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন, ওই সম্পর্কগুলোই আমাদের সম্পদ।”
[আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই মুঘল আমলের রুপোর মুদ্রা! সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি গ্রামবাসীদের]
দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূল নেতা সিরাজউদ্দিন দেওয়ান জানান, “যে কোনও নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ভোট পরবর্তী সময়ে ঘরছাড়া, খুন, লাগামহীন সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়। ঈশ্বরপ্রদত্ত এই জীবন। রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ অকালে অনেক তরতাজা প্রাণ শেষ হয়ে যাবে।’’ তৃণমূল নেতার এমন নির্বাচনী প্রচার প্রসঙ্গে প্রশংসা করে বিজেপি জয়নগর সাংগঠনিক জেলা মিডিয়া ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার নায়েক জানিয়েছেন, “তৃণমূল নেতা যেটা লিখেছেন সেটা অত্যন্ত বাস্তব। কিন্তু সেটা দেওয়াল লিখনের আগে বাস্তবে পরিণত করে দেখালেই ভালো হত।’’
এসইউসিআই জেলা নেতা চন্দন মাইতির বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মুখে যা বলে কিংবা দেওয়ালে যা লেখে তার বিপরীত ঘটনা ঘটায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। আগে নিজেরাই পরিবর্তন হোক তবেই দেওয়াল লিখলে দেশের ও দশের মঙ্গল।’সিপিএম নেতা সৌরভ ঘোষ বলেন, ‘‘ভোটের সময় অনেক কিছুই লেখা হবে। ভোট শেষ হলে তার বিপরীত ফল ভুগতে হয়।’’