সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফণীর রেশ এখনও কাটেনি৷ তার মাঝেই আবারও ঝড়বৃষ্টির ভ্রূকূটি৷ হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগের ঘনঘটার সম্ভাবনা৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত হতে পারে প্রবল ঝড়বৃষ্টি৷
[ আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উজ্জ্বলা যোজনার ‘পোস্টার গার্ল’ই রান্না করেন উনুনে!]
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.২ ডিগ্রি বেশি। আর আবহাওয়া ছিল ঝলমলে হলুদ রঙা। বর্তমানে হিমাচল প্রদেশে হলুদ আবহাওয়াই জারি রয়েছে৷ এই আবহাওয়ার পরই সাধারণত দুর্যোগ হয়ে থাকে৷ আবহবিদদের অনুমান, বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হতে পারে। আগামী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে হতে পারে প্রবল বৃষ্টি৷ হতে পারে শিলাবৃষ্টিও৷ সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না৷ শিমলার আবহাওয়া দপ্তরও ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে। ঝড়বৃষ্টির ফলে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতি হতে পারে। কয়েকবছর আগে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উত্তরাখণ্ড৷ তার জেরেই আগাম সতর্কতার বন্দোবস্ত৷
[ আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে ৪৬৪টি ভীষ্ম ট্যাঙ্ক আসছে ভারতীয় সেনার হাতে]
সপ্তাহান্তে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও রোখা যায়নি প্রাণহানি৷ প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তিরিশেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়৷ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পুরী-সহ ওড়িশার এগারোটি জেলার৷ ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের কারণে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ বহু কাঁচাবাড়ি ভেঙে যায়৷ ভেঙে যায় কাচের দরজা-জানলা৷ উড়ে যায় কারও বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক৷ গাছও ভেঙে যায়৷ বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়৷ তবে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে ওড়িশা৷ স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন এবং উড়ান পরিষেবা৷ ইতিমধ্যেই দুর্যোগ কবলিত ওড়িশার পরিস্থিতি আকাশপথে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি৷ ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যও করেন৷ এই পরিস্থিতিতে আবারও প্রবল ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় চিন্তিত সকলেই৷
The post ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঝড়, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় জারি সতর্কতা appeared first on Sangbad Pratidin.