সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি থেকে মিলেছে কিছুটা রেহাই। বুধবার রাত থেকে কমেছে বৃষ্টি। তার ফলে পাহাড়ের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিস্তায় কিছুটা হলেও কমেছে জলস্তর।
তিস্তায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। রাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় স্বস্তি নদীপারের বাসিন্দাদের। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৩ মিলিমিটার। তিস্তায় সতর্কবার্তা আর নেই বলেই জানাল সেচ দপ্তর। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দক্ষিণ সুকান্ত নগর, সারদা পল্লি। জল কমতেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন।
[আরও পড়ুন: পরপর কন্যাসন্তানের জন্ম, ১৬ দিনের মেয়েকে খুন করে দেহ ধানজমিতে পুঁতল বাবা]
বৃষ্টি কিছুটা কমলেও দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। বুধবার রাতে ফের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নতুন করে ধস নামে। তার ফলে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। তবে ভোরের আলো ফুটতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। ৯ মাইলের রাস্তা খোলা রয়েছে। লাভা-গরুবাথানে ঝুঁকি থাকলেও শুরু যানচলাচল। গত দু’দিন ধরে একের পর এক রাস্তায় ধস, সেতুতে ফাটলের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন পর্যটকেরা। গাড়িতে বসেই সময় কাটাতে হয়েছে তাঁদের। কেউ কেউ পৌঁছতে পারেননি হোটেলেও। আবার কেউ কেউ বাধ্য হয়ে হেঁটে শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন।
বুধবার আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। তবে এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই উত্তরবঙ্গবাসীর। দিনভর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির আশেপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ৩.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৯ শতাংশ। অতিরিক্ত আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। শুক্রবার খেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের দিকে কমবে তাপমাত্রা। একধাক্কায় প্রায় ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। তার ফলে রাতের দিকে শীতের আমেজ অনুভূত হবে। শীত পুরোপুরি না পড়লেও শীত শীত ভাব উপভোগ করতে পারবেন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।