সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারীর বছরেও কাশ্মীরে (Kashmir) সন্ত্রাসদমনে তৎপর ছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। আর তারই ফল মিলল হাতেনাতে। ২০১৯ সালের তুলনায় ‘বিষের’ বছরে ভূস্বর্গে কমেছে জঙ্গি উপদ্রব। সন্ত্রাসবাদি হামলায় সেনা জওয়ান অথবা সাধারণ মানুষের মৃত্যুর হারও কমেছে অনেকটা। নতুন বছরের গোড়াতেই ২০২০ সালে সেনার এই সাফল্যগাথা তুলে ধরল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) ।
কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে হওয়া নাশকতামূলক কাজকর্মের পরিসংখ্যান সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ৬৩.৯৩ শতাংশ কম জঙ্গি হামলা হয়েছে ভূস্বর্গে। কমেছে সন্ত্রাসবাদী হামলায় জওয়ানদের মৃত্যুও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০-তে জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু কমেছে ২৯.১১ শতাংশ। জঙ্গি হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুহারও একইভাবে নিম্নমুখী। সরকারি তথ্য অনুসারে এই ধরনের ঘটনা প্রায় ১৪.২৮ শতাংশ কমেছে। এই সাফল্যের পিছনে দু’টি কারণ তুলে ধরেছে কেন্দ্র সরকার।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে সংঘাতের আবহেও লাদাখে ধৃত চিনা সৈনিককে ফেরত পাঠাল ভারত]
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার ফলেই ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে। গত বছরের গোড়া থেকেই নাশকতামূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে একের পর এক অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। কখনও জঙ্গিদের গোপন ডেরায় হানা দেওয়া তো কখনও আবার অস্ত্র পাচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অনুপ্রবেশও রুখে দিয়েছে তারা। নিরাপত্তা বাহিনীর এই তৎপরতাই ভূস্বর্গের জঙ্গিদের কার্যত শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি মন্ত্রকের।
অন্যদিকে, ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে ভূস্বর্গের উন্নয়নে একের পর এক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। যার সুফল আম কাশ্মীরিরা পাচ্ছেন বলেও দাবি কেন্দ্রের। এর ফলে ভূস্বর্গের যুবসমাজের বিপথগামী হওয়ার প্রবণতাও রাশ পেয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এই জোড়া অস্ত্রেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ধারালো ফলা কার্যত ভোঁতা হয়ে গিয়েছে।