সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল, শুক্রবার ভোরে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি মিগ-২১ বাইসন (MiG-21) যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল বিমানটির চালক স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরীর। এবার অভিনবর বাবা সত্যেন্দ্র চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রশ্ন তুললেন কেন আদ্যিকালের পুরনো এই বিমান এখনও রাখা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায়।
মীরাটের গঙ্গাসাগর কলোনির বাড়িতে রাতারাতি নেমে এসেছে আকস্মিক শোকের গাঢ় ছায়া। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়া বাবা সত্যেন্দ্র চৌধুরী কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছেন, ‘‘আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। কিন্তু আমি সরকারের কাছে হাতজোড় করে মিনতি করছি এই মিগ-২১ বিমানটিকে এবার ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তাহলে আমার মতো আরও বাবা-মা’কে এমন অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না।’’
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে স্বস্তি করদাতাদের, অনেকটা বাড়ল আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা]
বায়ুসেনায় অল্পবয়সিদের আজও দেশের অন্যতম পুরনো এই বিমানগুলিতে উড়ান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেকথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই বিমানগুলির ইতিহাস রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ার। যার ফলে বহু সেনার মৃত্যু হয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুতর একটা ইস্যু। আমাদের দেশের ফাইটার পাইলটদের জীবন জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, এই ধরনের দুর্ঘটনা-প্রবণ বিমানগুলিকে আর যেন বায়ুসেনায় না রাখা হয়।’’
একই মত অভিনবর এক তুতো দাদারও। তিনি এই বিমানকে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর এই বিমানের কারণে আমাদের বহু ফাইটার পাইলটদের মৃত্যু হয়। রাশিয়া (Russia) আশির দশকে এই বিমান ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার এই সেকেলে সোভিয়েত বিমানগুলি বাতিল করতে গড়িমসি করে চলেছে।’’
অভিনবর প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জ্ঞান সিংয়ের প্রশ্ন, ‘‘সরকার তো কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফাইটার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে। তাহলে কেন এখনও এই জরাজীর্ণ বিমানগুলিকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই তরুণ সেনার মৃত্যুতে একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।