সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকে বেজিংয়ের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়েছে নয়াদিল্লির। তারপর থেকেই চিন যেমন ভারতবিরোধী দেশগুলিকে নিয়ে জোট তৈরির চেষ্টা করছে তেমনি ড্রাগনকে জব্দ করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছে দিল্লিও। এই বিষয়ে তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা ও জাপান-সহ আরও অনেক দেশ। এর ফলে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে চিন। এর মধ্যেই জানা গেল আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার।
মঙ্গলবার আন্টলান্টিক কাউন্সিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই কথা ঘোষণা করেন মার্ক এস্পার (Mark Esper) নিজেই। ভারতকে প্রতিমুহূর্তে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। এই শতাব্দীতে ইন্দো-স্পেসিফিক অঞ্চলে দিল্লি আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চলেছে। আজকে গোটা বিশ্বজুড়ে চিন ও রাশিয়া নিজেদের একটি জোট তৈরির চেষ্টা করছে। তাদের মোকাবিলা করার জন্য ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগামী সপ্তাহে সেখানে যাব। আমার সঙ্গে এই সফরে থাকবেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।’
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বড় ধাক্কা বিজেপির, দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে দুষে দল ছাড়লেন একনাথ খাডসে ]
এরপরই ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, ‘ভারত হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। প্রচুর প্রতিভাবান মানুষ সমৃদ্ধ একটি সুন্দর ও যোগ্য একটি দেশ। কিন্তু, বর্তমানে তাদের প্রতিমুহূর্তে হিমালয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী মাসে মালাবার উপকূলে ভারতের সঙ্গে নৌ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেছে চিন। এর মাঝেই মার্কিন বিদেশ ও প্রতিরক্ষা সচিবের ভারত সফর তাদের মানসিক চাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।