সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘক্ষণ ধরে সিবিআইয়ের তল্লাশিতে উদ্ধার ২৮ লক্ষ টাকারও বেশি। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সেই টাকা গুনতে নোট গোনার মেশিন আনতে হয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে এসেছে প্রচুর পরিমাণ গয়নাও। সবই অবৈধ বলে বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। দলের বিধায়কের বাড়ি থেকে এত পরিমাণ নগদ অর্থ, গয়না উদ্ধার হওয়া নিয়ে তৃণমূলের কী প্রতিক্রিয়া, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সাফ জানালেন, উদ্ধার হওয়া টাকা অবৈধ প্রমাণিত হলে, দলের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’। পালটা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রতিক্রিয়া, তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে গেলেই টাকা উদ্ধার হবে।
ডোমকলের (Domkal) বিধায়ক জাফিকুল এই মুহূর্তে কলকাতায়, বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে। নিজের বাড়ি থেকে এত টাকা, গয়না উদ্ধার হওয়া নিয়ে তাঁর দাবি, ওই অর্থ জমি বিক্রির এবং গয়না শ্বশুরবাড়ির দেওয়া। এসবের মধ্যে বেআইনি কিছু নেই। এর আগে এই জেলারই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও একইভাবে টাকা-নথি উদ্ধার হয়, পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এবার ডোমকলের বিধায়কের বাড়ি থেকেও বিপুল অর্থ-গয়না উদ্ধার। এ বিষয়ে দলের কী অবস্থান?
[আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়! সন্দেহের বশেই আটমাসের শিশুকে ‘খুন’ বাবার]
দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘কোনও কোনও সূত্রে বলা হচ্ছে, জাফিকুলের বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকা বৈধ না অবৈধ, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। যদি ব্যবসার টাকা হয়, তা হলে তার বৈধতা নিয়ে কার কী বলার আছে? আর যদি অবৈধ হয়, তা হলে দলের অবস্থান আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন – জিরো টলারেন্স।’’ এ নিয়ে জিরো টলারেন্স অর্থাৎ কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়, সেই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রেও ‘অবৈধ অর্থ’ প্রমাণিত হলে সেই নীতি অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেবে দল।
[আরও পড়ুন: বউভাত মিটতেই ধরনায়! নববধূর বেশে বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক শম্পা ধাড়া]
কুণাল ঘোষের এই বক্তব্যের পালটা দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই টাকা বৈধ বলে কি আদৌ তৃণমূলও বিশ্বাস করে? সাধারণ কর্মীরা দূরের কথা, যিনি বলেছেন, তিনিও কি তা বিশ্বাস করেন? সিবিআই একটা বাড়িতে গিয়েছে। এত টাকা, গয়না পেয়েছে। যাঁর বাড়িতে যাবে, তাঁর বাড়িতেই টাকা পাবে। তৃণমূলের মুখপাত্ররা অপেক্ষা করুন, এই রকম প্রতিক্রিয়া আরও অনেকবার দিতে হবে।’’