সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শতরূপ ঘোষের ২২ লাখি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে সিপিএমের (CPM) অন্দরেই তুমুল ঝড় উঠেছিল মার্চে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি এরাজ্যের বাম নেতৃত্বকে। কিন্তু শুক্রবার কেরলের (Kerala) এক বামপন্থী নেতাকে দলীয় সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি কেনায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সিটু অনুমোদিত কেরল পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড গ্যাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পি কে অনিল কুমার। তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি লাক্সারি মিনি কুপার। আর তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল দল। সমস্ত পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার।
[আরও পড়ুন: মিউজিয়ামের নাম থেকে বাদ ‘নেহরু’! কংগ্রেসের তোপের মুখে মোদি সরকার]
সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দান সিপিএমের এর্নাকুলাম জেলা কমিটি ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জানান, যদি এরপরও অনিলের সদস্যপদ থেকে যায়, তাহলে তা দলের নীতিবিরুদ্ধ হবে। তাঁকে সমর্থন করেন দলের অন্য কয়েকজন সদস্যও। তাঁরা দাবি করেন, এই মিনি কুপার কেনার বিষয়টিতে ভুল বার্তা যাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
অনিল কুমারের হলুদ রঙের কুপারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক। বামপন্থী নেতাকে পড়তে ট্রোলিংয়ের মুখে। এমনও খোঁচা মারা হয়, আসলে এই গাড়িটি কিনে অনিল বুঝে নিতে চাইছেন কেমন করে পুঁজিপতিরা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে অনিল অবশ্য বলেছেন, তাঁর স্ত্রী ‘ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে’ চাকরি করেন। এই গাড়ি তিনিই কিনেছেন।
[আরও পড়ুন: ভারত থেকে বিনিয়োগ কাড়ার ছক! মাস্কের পর ‘বন্ধু’ গেটসের সঙ্গে শি-র বৈঠক]
কিন্তু তাতে বিতর্ক থামেনি। অবশেষে দলীয় নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছলে নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। বৈঠকে আলোচিত হয় বিষয়টি। এরপরই অনিল কুমারকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে।
উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে বাংলার বামপন্থী নেতা শতরূপ ঘোষও বিতর্কে পড়েন একটি গাড়িকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) প্রশ্ন তোলেন নির্বাচনী হলফনামায় যাঁর সম্পত্তি ২ লক্ষ টাকা, পার্টির সেই হোলটাইমার এত দামি গাড়ি চড়লে লোককে মুখ দেখাবেন কীভাবে? পালটা নথি দেখিয়ে শতরূপ বলেন, এই গাড়ির দাম দিয়েছেন তাঁর বাবা।