স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য সোমবার বৈঠকে বসে সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করলেন রাজ্যের বিদুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। একই সঙ্গে তিনি সিইএসসিকে নির্দেশ দিলেন, কোথাও কোনও 'টেকনিক্যাল ফল্ট' হলে সেখানে আগে জেনারেটর চালিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করুন, পরে কর্মীদের পাঠিয়ে কাজ শুরু করুন।
গত কয়েকদিন ধরে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ আসছে, কলকাতা (Kolkata) ও শহরতলিতে বিভিন্ন জোনে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। সিইএসসিতে (CESC) অভিযোগ জানিয়েও দ্রুত সুরাহা হচ্ছে না। বিশেষ করে কলকাতার বসতি ও কলোনি এলাকায় রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে সিইএসসি অভিযোগই গ্রহণ করছে না। কমপ্লেন সেলে ফোন করলে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে একাধিক জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন। বস্তুত এমনই একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন সল্টলেকের বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী। ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু ছাড়াও সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: মহিলাদের চা চক্রে হিন্দি গান! প্রচারে অন্য মেজাজে দিলীপ ঘোষ]
বিগত ৫০ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ছাড়িয়ে দহন জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছে কলকাতা। একের পর এক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার সাঁড়াশি আক্রমণে দিশেহারা মহানগরবাসী। বস্তুত সেই কারণে শহরে এসি ও এয়ারকুলার বিক্রির রেকর্ড সর্বোচ্চ হারে পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, চাহিদার সঙ্গে এসির জোগান দিতে পারছেন না ডিলাররা। বুকিং করার ৭ দিন বাদেও গৃহস্থের বাড়িতে এসি ডেলিভারি হচ্ছে না। উলটো দিকে এই এসিগুলির (AC) অধিকাংশই সিইএসসির কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছে। আর সেই কারণে শহরে মূল চাহিদার থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ জোগান দিতে হচ্ছে বলে সাফাই দিয়েছেন সিইএসসি কর্তারা।
এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হিসাব বহির্ভূত এসির বিদ্যুৎ জোগান নিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে সিইএসসি। যদিও গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল মেটানো ও স্বার্থের কথা তুলে ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার উপরই গুরুত্ব দেন অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। বলেন, সাধারণ মানুষ এত 'টেকনিক্যাল' যুক্তি ও তথ্য বুঝতে চায় না। তাঁরা মাস গেলে সিইএসসির বিল ধরে যেমন টাকা জমা দেন, তেমনই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগান চান। এর পরই মন্ত্রী ফের শহরজুড়ে রাখা ১০০টি জেনারেটর আরও বেশি করে ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে মহানগর কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বৃদ্ধিতে নজর দিতে সিইএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।