সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে একের পর এক পড়ুয়ার। আর এই আবহেই এবার মধ্যপ্রদেশের এক অমানবিক ঘটনা এল প্রকাশ্যে। স্কুল হস্টেলে ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের কিশোর। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিদ্যালয়েরই পিওনকে।
বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সাতনা জেলার সরস্বতী বিদ্যাপীঠ উচ্চমাধ্যমিক আবাসিক স্কুলের ঘটনা। সেই স্কুলেই ঘটে এই অমানবিক ঘটনা। নির্যাতিত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি রেওয়া জেলায়। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এই স্কুলে ভরতি হয় সে। তারপর থেকে স্কুলের আবাসিক হিসেবেই থাকে। সম্প্রতি অসুস্থ ছিল ওই ছাত্র। তাই স্কুলে না গিয়ে হস্টেলেই ছিল সে। হস্টেল কার্যত ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়েই ওই ছাত্রকে যৌন হেনস্তা করে রবীন্দ্র সেন নামের এক পিওন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ৪০ বছর পরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রিসে মোদি, উচ্ছ্বসিত ভারতীয় সম্প্রদায়]
ছাত্রের অভিযোগ, যৌন হেনস্তার পরই রবীন্দ্র রীতিমতো হুমকি দেয় তাকে। বলা হয়, কারও সামনে মুখ খুললে এর ফল ভাল হবে না। ভয় পেয়ে যায় ১৩ বছরের কিশোর। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ফোন করে অভিভাবকদের গোটা ঘটনা জানায় সে। এক মুহূর্ত দেরি না করে স্কুলে ছুটে আসেন তাঁরা। কিন্তু স্কুলের প্রিন্সিপাল নির্যাতিত ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি বলেই অভিযোগ।
পরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার পাশাপাশি পকসো আইনেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত রবীন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জেরা করে ঘটনার খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছে নির্যাতিত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।