সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওল্ড ফরিদাবাদের বিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ১৫ বছরের এক নাবালিকা। তার উপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ ওই ব্যক্তির খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি।
[পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন]
একদিন বা দু’দিন নয়, একটানা প্রায় ২ বছর ধরে প্রতিদিনই পরপুরুষের হাতে ধর্ষিতা হতে হয়েছে ওই নাবালিকাকে, জানিয়েছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে বছর দু’য়েক আগে দিল্লিতে নিয়ে আসে সুরিন্দর নামের এক ব্যক্তি। মা-বাবা মারা যাওয়ার পর ওই নাবালিকাকে দেখভালের অজুহাতে রাজধানীতে আনা হয়। কিন্তু তারপর যা যা ঘটল তার সঙ্গে, স্বপ্নেও এমনটা ভাবতে পারেনি সে। নির্যাতিতা নিজেই বলছে, ‘আমার দিদিমা আমাকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে সুরিন্দরের কাছে বিক্রি করে দেয়।’
সেই শুরু। সুরিন্দরই প্রথমে ওই নাবালিকাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে। চলত মারধর। মেরে কালশিটে ফেলে দেওয়া হত নাবালিকার গায়ে। পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে চলত অকথ্য অত্যাচার। যৌনসুখ পেতে কিশোরীর মুখ বন্ধ করে সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিত সুরিন্দর। কিন্তু সে তো সবে শুরু। সুরিন্দর ওই কিশোরীকে দিল্লির আর এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়। মণি মিশ্রর বাড়িতে প্রথমটা এসে ওই কিশোরী ভাবে, নরক যন্ত্রণা ঘুচল বোধহয়। কিন্তু না! বরং এই মিশ্র তাকে রান্নাঘরের ভিতরেই ধর্ষণ করে। তাকে থাকতেও হত রান্নাঘরের এক কোণে। কেড়ে নেওয়া হয় ওই কিশোরীর সঞ্চিত ৩০ হাজার টাকা। রান্নাঘরের বাইরে তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে থাকত, আর ভিতরে এই মিশ্র পাশবিক নির্যাতন চালাত কিশোরীর উপরে। আক্রান্তের মুখে এই জবানবন্দি শুনে শিউরে উঠেছেন দুঁদে পুলিশকর্তারাও। ফরিদাবাদের ডিসিপি ভূপিন্দর সিং বলছেন, ‘মূল অভিযুক্ত ও তার পরিবারকে ধরতে স্পেশ্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। নির্যাতিতার দিদিমাকেও সন্দেহের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে না।’ হরিয়ানার শিশু রক্ষা কমিশনের সদস্য বালকৃষ্ণণ গোয়েল বলছেন, এরকম জঘন্য অত্যাচার তিনি আগে কারও উপর ঘটে দেখেননি।
[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮: একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে মোবাইলের দাম]
The post রান্নাঘরের পরিচারিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, বাইরে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তর স্ত্রী-সন্তান appeared first on Sangbad Pratidin.