ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আদিবাসী নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এমনই অভিযোগে তোলপাড় বীরভূমের শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। স্থানীয় থানায় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। নাবালিকার অভিযোগ, নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল সে। তখনই অভিযুক্তরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। একটি ভাঙা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালিকাকে। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয়। পাঁচ যুবকের মধ্যে তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ১৪ বছরের কিশোরীর।
[আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে ধূমপানের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত খোদ পুলিশ কনস্টেবল, বীরভূমের ঘটনায় শোরগোল]
নাবালিকা জানায়, অকথ্য অত্যাচার চালানোর পর তাঁকে ভাঙা বাড়িতেই ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে নাবালিকাকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই উদ্ধার করেন। পরে থানায় গিয়ে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা। তার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত পাঁচ যুবকই স্থানীয় বাসিন্দা এবং ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁর প্রতিবেশী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। কোনও ব্যক্তিগত রোষের জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তদন্তের কাজে সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত তার অপেক্ষাতেই শান্তিনিকেতন থানার তদন্তকারী অফিসাররা। উল্লেখ্য, রবিবার খড়গপুর টাউন থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকায় মূক ও বধির নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। শান্তিনিকেতনের ঘটনায় তৎপর প্রশাসন। পুলিশের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।