সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একরত্তি সন্তানকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা। খুন করল খোদ মা। কিন্তু কেন? সেই ঘটনার তদন্তে নামতেই এক মর্মান্তিক কাহিনীর হদিশ পেল মধ্যপ্রদেশের পুলিশ।
পুলিশি হেফাজতে মেয়েটি যে কথা জানিয়েছে, তা মর্মান্তিক। ৪০ দিন বয়সের সন্তানকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরেছে সে। যে মা নিজেই নাবালিকা। উপরন্তু ধর্ষণের শিকার। এই ঘটনায মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দামো জেলায় বছর পনেরোর এক নাবালিকাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls: পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত বামনেতার মেয়ে, তালিকায় একাধিক চমক]
মেয়েটি ধর্ষণের (Rape) শিকার হয় এবং অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তার পর কার্যত বাধ্য হয়েই সন্তানের জন্ম দেয় ওই নাবালিকা। গোটা ঘটনায় নিজের অপমান ও ঘৃণার জেরেই সন্তানকে সে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে দামো জেলার তেন্দুখেড়া থানার সাব ডিভিশনাল অফিসার অশোক চৌরাশিয়া।
তিনি জানান, গ্রামেরই এক কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ওই কিশোরীর। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক কিশোরই, যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে আগস্ট মাসে পেটে যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন যে, সে অন্তঃসত্ত্বা। তখনই বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের কাছেও প্রকাশ করে কিশোরী। তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তাকে হেফাজতে নিয়ে জুভেনাইল কারেকশনাল হোমেও পাঠানো হয়। কিন্তু শারীরিক জটিলতার কারণে কিশোরীর গর্ভপাত করানো সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: সেক্টর ফাইভে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চলন্ত বাস থেকে নামার সময় অন্য বাসের ধাক্কায় মৃত যুবক]
এর পর গত অক্টোবরে সে সন্তানের জন্ম দেয়। এর কিছুদিন পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মেয়েটি পুলিশকে জানায় ধর্ষণ ও তার জেরে অপমানের কারণে সে-ই শিশুটিকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে। শিশুটির শরীরের ময়নাতদন্তের পর মেয়েটির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় হতচকিত পুলিশ কর্তারাও।