গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: দিনের পর দিন স্কুলছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে যৌন হেনস্তার অভিযোগ বেশ কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) মিনাখাঁয়। ক্রমাগত ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর ফলে গুরুতর অসুস্থ ওই ছাত্রী। বর্তমানে তাকে ভরতি করা হয়েছে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে। ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মিনাখাঁর মালঞ্চ এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যেরা তাকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, দিনের পর দিন যৌন হেনস্তা করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়টি। ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের দাবি, একদিন নয় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করা হত নাবালিকাকে।
[আরও পড়ুন: Hanskhali Rape Case: হাঁসখালি ধর্ষণে গ্রেপ্তার আরও ১, ধৃত যুবক মূল অভিযুক্ত সোহেলের বন্ধু]
জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই ছাত্রী বাড়িতে অসুস্থ বোধ করছিল। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে লজ্জায় সে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু হঠাৎ গত একসপ্তাহ আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঘটনা কথা জানা যায়। তখনই ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা মিনাখাঁ থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মিনাখাঁ থানার পুলিশ রবিবার ভোরে শামীম মোল্লা, সম্রাট মোল্লা ও আবুতালেব মোল্লা নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে। আদালত চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তবে এই নিয়ে মিনাখাঁর এসডিপিও নির্মল কুমার দাস জানান, মেয়েটিকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো এবং যৌন হেনস্তার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে, মেয়েটি পুরোপুরি সুস্থ হলে বিস্তারিত ভাবে আরও জানা যাবে।