সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডে বড়দিনের (Christmas 2022) উৎসবে হামলা। অভিযোগ, বড়দিনের প্রার্থনার নামে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছিল। এই অভিযোগে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, যাদের উপর হামলা হয়েছিল তাঁদেরও আটক করে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রাজধানী দেরাদুন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তরকাশী জেলার ছোট্ট গ্রাম পুরোলা। শুক্রবার দুপুরে সেখানে বড়দিনের উৎসব চলছিল। প্রার্থনার দায়িত্বে ছিলেন পাস্তুর ল্যাজারাস কর্নেলিয়াস ও তাঁর স্ত্রী সুষমা কর্নেলিয়াস। দুজনই ইউনিয়ন চার্চের সদস্য। জানা গিয়েছে, গ্রামে বড়দিন উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে সেদিন সকালে প্রার্থনা করা হচ্ছিল। আচমকা জনা তিরিশ যুবক লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রার্থনাসভায় হামলা চালায়। হামলাকারীদের অভিযোগ, বড়দিনের উৎসবের নামে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: ‘ভিখারি হয়ে গিয়েছি আমরা’, রাজ্য সরকারকে বিঁধতে গিয়ে বিতর্কে দিলীপ]
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। তার মধ্যে আক্রান্ত কর্নেলিয়াস দম্পতিও ছিল। পরে অবশ্য় ছজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি কোনও তথ্য দিতে চায়নি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার শুক্রবার বিধানসভায় ধর্মীয় স্বাধীনতা সংশোধনী আইন পাশ করিয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, জোর করে ধর্মান্তকরণের (Religious Conversion) অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা যাবে। সেই সঙ্গে তাকে জরিমানা করা হবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, দোষ প্রমাণিত হলে যাদের ধর্ম বদলের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। আগের আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ধর্মান্তকরণের শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল।