শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ক্লাস চলাকালীন স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষিকাকে কোপাল কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা কয়েকজন যুবক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযোগের তির শিক্ষিকার প্রথম স্বামীর পরিবারের দিকে।
রোজকার মতো এদিনও রায়গঞ্জ ব্লকের ভাতুন প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন রত্না খাতুন (৩৮)। অভিযোগ, আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে। রত্নাদেবীর উপর চড়াও হয়। প্রাণ বাঁচাতে স্কুলের শৌচাগারে আশ্রয় নেন তিনি। তাতেও শেষরক্ষা হল না। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে, পেটে, মুখে আঘাত করা হয়। পরে তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রত্নাদেবীকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]
জানা গিয়েছে, রত্নাদেবী ওই প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা। তাঁর প্রথম স্বামী গোলাম ইয়াসদানির মৃত্যু হয়েছে বছর কয়েক আগে। তার পর আবদুল জলিলের সঙ্গে সংসার পাতেন রায়গঞ্জ শহরে। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। সে অবশ্য গোলাস ইয়াসদানির সন্তান। যার জেরে প্রথম স্বামীর পরিবারের সম্পত্তির উপর কিছুটা অধিকার রয়ে গিয়েছে রত্নাদেবী ও তাঁর সন্তানের। সেই জমি নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এদিনের হামলা বলে মনে করছে পরিবার। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এই হামলা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাফাইয়েল মাড্ডি বলেন, “আজ আমি স্কুলে যায়নি। তবে শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি।”