সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যাত্রাণের জন্য যে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে তা অগ্রিম। প্রয়োজনে আরও আর্থিক সাহায্য করা হবে কেরলকে। ঈশ্বরের আপন দেশকে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। কেরলের রাজ্যপালকে আশ্বাস দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[রাফালে নিয়ে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’-এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের আম্বানির]
শনিবারই নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন কেরলের রাজ্যপাল। মোদিকে বন্যা পরিস্থিতি এবং উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন তিনি। সেখানেই রাজ্যপালকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার কেরলের রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন কেরলের বন্যাত্রাণে যে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে তা অগ্রিম হিসেবে। আগামিদিনে প্রয়োজনে কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে আরও অর্থ দেওয়া হবে কেরল সরকারকে।” ইতিমধ্যেই কেরলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি দল তৈরি করেছে কেন্দ্র। একটি উচ্চস্তরীয় কমিটিও তৈরি হয়েছে। এই কমিটি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী পর্যায়ে নতুন করে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেরলের বিপর্যয়ের সময় নিয়মের বাইরে গিয়েও রাজ্য সরকারকে সাহায্য করেছে কেন্দ্র। আগামিদিনে প্রয়োজনে ফের তাই করা হবে।
[বাজপেয়ীর নামে একাধিক জায়গার নামকরণের প্রস্তাব ঝাড়খণ্ডে]
শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত কেরল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ২১০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্যের আরজি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, বানভাসি রাজ্যের জন্য মোট ৬০০ কোটির আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের সাহায্যের পরিমাণ শুনে ভ্রুঁ কুঁচকেছেন অনেকেই। এত বড় বন্যার সাহায্য মাত্র ৬০০ কোটি কেন? প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, অ-বিজেপি রাজ্য বলে কেরলকে সাহায্য করতে চাইছেন না মোদি। দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে রীতিমতো সরবও হয়েছিল বিরোধীদের একাংশ। এই পরিস্থিতি মোদির এই ঘোষণা সমালোচকদের যোগ্য জবাব দেবে, এমনটাই দাবি বিজেপি শিবিরের।