সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উঁহু! মোদিজির মৎস্যপ্রীতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন এখানে তোলা যাবে না।
কেন না, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশুদ্ধ নিরামিশাষী। তার পরেও সার্ডিন মাছ কেন রাতারাতি জনপ্রিয়তা এবং পরিচিতি পাচ্ছে মোদির নামে?
আসলে, নরেন্দ্র মোদি যে বছর থেকে ক্ষমতায় এসেছেন, সেই বছর থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতে সার্ডিন মাছের আমদানি। তার আগে রীতিমতো মন্দার মুখ দেখছিল সার্ডিন মাছের ব্যবসা। সেই সময় সার্ডিন মাছ ভারতে আসত কার্গো বিমানে। মোদির ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হঠাৎ শুরু হয় ওমান থেকে সমুদ্রপথে আমদানি।
সেই শুরু। কিন্তু, এই বাড়বাড়ন্তই সার্ডিনের মোদিজির নামে নামকরণের একমাত্র কারণ নয়।
আসলে ওমান থেকে সার্ডিন মাছ ভারতে প্রথম এসে পৌঁছয় গুজরাতে। তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অন্যান্য প্রান্তে। সেই জন্যই ওমান থেকে আমদানি করা সার্ডিন মাছ ভারতে হয়ে গিয়েছে মোদি সার্ডিন। তুলু ভাষায় যাকে বলা হয় মোদি ভুটাই!
এখন দেশের অনেকাংশই যেমন নরেন্দ্র মোদির শাসনে ‘অচ্ছে দিন’-এর মুখ দেখছেন, তেমনই দেখছেন মোদি সার্ডিনের বিক্রেতারাও।
হোটেল মালিক লোকেশ উল্লালই যেমন কথায় কথায় জানালেন তাঁর খুশির কারণ। আগে প্রতি কেজিতে মেরে-কেটে পনেরোটা কি কুড়িটা স্থানীয় সার্ডিন মিলত। কিন্তু এই মোদি সার্ডিনের একেকটারই ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম।
তা, ওজন বেশি হলে তো দামও বেশি হবে। সেই ব্যাপারে কোনও বক্তব্য নেই বাজারের এবং ক্রেতাদের?
লোকেশ জানিয়েছেন, দামটা বেশি পড়ছে ঠিকই! কিন্তু মোদি সার্ডিনের গুণমান এতটাই ভাল যে সেই বর্ধিত দাম নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছেন না ক্রেতারা।
জানা গিয়েছে, আগে এক কেজি সার্ডিনের দাম পড়ত প্রায় ১২০ টাকা। এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা মতো!
তাতেও কোনও অভিযোগ নেই। বরং, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে কর্ণাটক এবং কেরল। বিশেষ করে মেঙ্গালুরু। কেন না, পরিসংখ্যান বলছে, মেঙ্গালুরুতেই সার্ডিনের বিক্রি সর্বাধিক।
তাহলে কি মাছের হাত ধরেই ‘অচ্ছে দিন’-এর মুখ দেখছে দেশ?
The post গুজরাতে ঢেলে বিকোচ্ছে ‘মোদি সার্ডিন’ appeared first on Sangbad Pratidin.