সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনে দিনে বাড়ছে তেলের দাম। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই তেলে শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র এবং অধিকাংশ রাজ্যের সরকারই। কিন্তু তাতেও আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত দামের হেরফেরের জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থতিতে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প পথের সন্ধানের লক্ষ্যে সোমবার বহুজাতিক তৈল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[পদত্যাগ করছেন যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এমজে আকবর!]
এর আগে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে এই ধরণের বৈঠকে অংশ নেন মোদি। সেবারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়, যদিও বাস্তবে এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। ২০১৭ সালের অর্থাৎ গত বছর আলোচনা হয় ভারতে উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো অর্থাৎ লিবারালাইজেশনের এবং ওপেন লাইসেন্সিংয়ের নিয়ে। মোদির বিশ্বাস ছিল এর ফলে ঘরোয়া উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন হবে। এমনকি ২০২২ সাল নাগাদ জ্বালানির আমদানি বাবদ খরচ অন্তত ১০ শতাংশ খরচ কমানোর লক্ষ্যমাত্রাও দিয়েছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে প্রতিবছরই ৫-৬ শতাংশ বাড়ছে আমদানি বাবদ খরচ। এই মুহূর্তে ভারতের জ্বালানির চাহিদার ৮৩ শতাংশ মেটে আমদানির মাধ্যমে। ২০১৫ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৭৭ শতাংশ।
[‘দক্ষিণ ভারতের চেয়ে পাকিস্তান বেশি মধুর’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য সিধুর]
পেট্রোপণ্যেরর দাম বাড়ার ক্ষেত্রে অনেকেই তৈল উৎপাদনকারী দেশগুলির স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেন। আমেরিকার নীতি বদলকেও দায়ী করেন অনেকে। সোমবারের বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়ই ভবে কীভাবে ওপেক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমানো যায়। এ বিষয়ে সৌরশক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ আগেই নেওয়া শুরু করেছে ভারত। সোমবারের বৈঠকেও বিকল্প শক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীদিনে তেল ক্রয়বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা নাকি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে।
The post তেলের দাম কমাতে উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.