সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রমজান মাসে রোজা না করেই আল্লাহের রোষের মুখে পড়েছেন মহম্মদ সালাহ। মিশরীয় স্ট্রাইকারের চোট প্রসঙ্গে বিতর্কিত দাবি করলেন কুয়েতি ধর্মগুরু। কুয়েতের মুসলিম ধর্মগুরু মুফতি মুবারক আল বাথালির দাবি, ‘ফাইনালের দিন উপবাস না করার শাস্তি পেয়েছেন সালাহ। ঈশ্বর ওকে শাস্তি দিয়েছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী খেলার জন্য কোনওভাবেই উপবাস ভাঙতে পারে না মুসলমানরা।’ সালাহ চোট পাওয়ার পর এই ধরনের মন্তব্য শোনা যাচ্ছিল মুসলিম ফুটবল সমর্থকদের একাংশের মুখ থেকে। ট্যুইটারে কেউ কেউ বলছিলেন উপবাস ভাঙা উচিত হয়নি সালাহ-র। মুবারক আল বাথালির মুখেও শোনা গেল সেই কথায়।
[বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শিবিরে ফুটবলারদের হাতাহাতি, সামাল দিলেন ক্লোজে]
ফাইনালের আগে মহম্মদ সালাহ এবং সাদিও মানেকে উপবাস না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন লিভারপুলের ফিজিও রুবেন পনস। সেই অনুযায়ী মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু শাওকি আলমের কাছে অনুমতিও চেয়েছিলেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার। সেই মত সালাহ কে কিছুদিনের জন্য উপবাস বন্ধ রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন শাওকি। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন সের্জিও ব়্যামোসের করা ট্যাকলে চোট পান সালাহ। ৩১ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। মুফতি মুবারক আল বাথালির দাবি, ‘সালাহকে ভুল পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ম্যাচের দিনে উপবাস করলে এই পরিস্থিতি হত না, সহজেই জয় পেতেন তিনি। যদিও বাথালির এই দাবিকে ধর্মীয় গোড়ামি হিসেবেই দেখছেন ফুটবল সমর্থকরা।
[দারিদ্র ঢাকতে জীর্ণ দেওয়ালে কার্টুন আঁকছে রাশিয়া]
এদিকে বিশ্বকাপে সালাহর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত। লিভারপুলের ফিজিও রুবেন পনস জানিয়েছেন, মিশরের স্ট্রাইকারের চোট অত্যন্ত গুরুতর। এই অবস্থায় অন্তত ৩-৪ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। এদিকে বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র ২ সপ্তাহ বাকি। সুতরাং সময়মতো ফিট হয়ে ওঠা সম্ভব হবে না সালাহ-র পক্ষে। মিশর গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নক-আউট পর্বে গেলে সেক্ষেত্রে হয়তো পাওয়া যেতে পারে দলের সেরা স্ট্রাইকারকে। যদিও, সালাহ-কে ছাড়া আদৌ মিশর নক আউটে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। সালাহ নিজে অবশ্য দাবি করছেন, যেন তেন প্রকারে তিনি বিশ্বকাপের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপাতত স্পেনে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
The post ফাইনালে রোজা ভাঙার ‘শাস্তি’ পেয়েছেন মহম্মদ সালাহ, দাবি মুসলিম ধর্মগুরুর appeared first on Sangbad Pratidin.