সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে টাকার গাছ। কর্ণাটকের (Karnataka) এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের (Engineer) বাড়ি তল্লাশি করে দেখা মিলল টাকা ভরতি পাইপ ও ছাদের। আসলে অতর্কিতে বাড়িতে দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের হানায় তড়িঘড়ি টাকা লুকোতে গিয়ে তিনি পাইপেই লুকিয়ে রাখেন টাকা। আর তারপর প্লাম্বার ডেকে পাইপ কাটতেই দেখা যায় দেওয়ালের ঝুলন্ত পাইপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে টাকার তোড়া ও সোনার গয়না! যা দেখে তাজ্জব অফিসাররা। ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেনরাও।
ঠিক কী হয়েছিল? কর্ণাটকের দুর্নীতি দমন শাখা এসিবির কাছে আগে থেকেই খবর ছিল ওই অফিসারের হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির ব্যাপারে। রাজ্যের কালাবুর্গির বাসিন্দা শান্তগৌড়া বিরাদরের বাড়িতে রেড করে এসিবি। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এসপি মহেশ মেঘান্নবর।
দরজায় তাঁদের টোকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত শান্তগৌড়া আর শান্ত থাকতে পারেননি। তিনি বুঝে ফেলেন শিয়রে শমন! এরপরই অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার সাত তাড়াতাড়ি বেআইনি টাকাপয়সা, গয়না লুকোতে শুরু করে দেন। মিনিট দশেক পরে দরজা খোলেন তিনি। ততক্ষণে এসিবির আর বুঝতে অসুবিধে নেই, অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য। এই দশ মিনিটে সম্পত্তি লুকোতে চেষ্টা করেছেন শান্তগৌড়া। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। আর কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসতে থাকে কেউটে।
[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে সংগঠন তৃণমূলের, যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ কংগ্রেস বিধায়ক]
প্লাম্বার ডেকে কাটানো হয় দেওয়ালে লাগানো পিভিসি পাইপ। দেখা যায় তাঁর ভিতরেই লুকিয়ে রাখা বহুমূল্য গয়না ও টাকার গুচ্ছ। এরপর দেখা যায় বাড়ির সিলিংয়ের ফাঁকেও লুকিয়ে রাখা রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সবশুদ্ধ সাড়ে ১৩ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয় ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে। পরে বাড়ির সিলিং থেকেই মেলে আরও ৬ লক্ষ টাকা!
সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তির মূল্য়ায়ন করা হচ্ছে। PWD-তে তিনি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে নানা প্রকল্পের সময় নেওয়া ঘুষেই ক্রমশ ফুলেফেঁপে ওঠে তাঁর সম্পত্তি। অবশেষে যা আর গোপন থাকল না। একবারের তল্লাশিতেই বেরিয়ে এল হিসেব বহির্ভূত লক্ষ লক্ষ টাকা-গয়না।