সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী বলবেন একে দেশভক্তি! নাকি নিছক মজায় বেনজির কাণ্ড বাধিয়ে ফেলা। স্বাধীনতা দিবস পালনে রাজস্থানের পুস্করের একটি স্কুলে তোড়জোড় চলছিল। স্কুলের ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল। শিক্ষকদের আগেই সেখানে পতাকা তুলে ফেলে দুটি হনুমান। পতাকার গিঁট খুলে আগেভাগেই উদযাপন শুরু করে বানরদ্বয়। তাদের এই কাণ্ড দেখে হেসেই খুন পড়ুয়ারা। কয়েক সেকেন্ডের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।
[এবার সরাসরি ভারতে ঢুকে হামলার ছক লালফৌজের, সতর্কতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের]
তাদের রামভক্ত বলা হয়। দেশভক্তিতেও তারা যে কম যায় না, তা দেখিয়ে দিল দুই হনুমান। রাজস্থানের পুস্করে একটি স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তারা এখন নায়কের মর্যাদা পাচ্ছে। বিষয়টি কীরকম? আজমেঢ় জেলার পুস্করে প্রচুর হনুমান রয়েছে। মন্দির, বাড়ির ছাদে হনুদের অবাধ বিচরণ। এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও বানরদের এই দৌরাত্ম্য একেবারেই গা-সওয়া। তবে মঙ্গলবার সকালে পুস্করের প্রজ্ঞাবাল নিকেতনে আজব ঘটনা ঘটে। ১৫ আগস্টের সকাল সকাল স্কুলে চলে গিয়েছিল পড়ুয়ারা। ছিলেন শিক্ষকরাও। স্কুলের মাঠে মূল পতাকা উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি ছাদেও পতাকা তোলা এই স্কুলে দীর্ঘদিনের চল। আটটার সময় পতাকা উত্তোলনের সময় ছিল। তার আগে কয়েকজন ছাদে গিয়ে পতাকা সাজিয়ে রাখে। বাঁশের গায়ে দড়ি দিয়ে পতাকা আটকানো ছিল। পতাকার মধ্যে ছিল ফুলের পাপড়ি। স্কুল চত্বরে পতাকা তোলা হয় সময়মতো। এইসময় কয়েকজনের নজরে আসে ছাদে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরছে দুটি হনুমান। তারপরের ঘটনা চূড়ান্ত নাটক। ছাদের ধারে রেলিংয়ে ঘাপটি মেরে বসেছিল হনুমান দুটি। তাদের একজন আচমকা পতাকার সঙ্গে থাকা দড়িতে টান মারে। মুহূর্তের মধ্যে পতাকা খুলে যায়। ফুলের পাপড়ি বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে। নিচে থাকা স্কুলের পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যায়। তাদের তুমুল হাততালি বুঝিয়ে দেয় বিশাল কিছু করে ফেলেছে হনুমানটি। হনুমানের অপর সঙ্গীও পর্যন্ত যেন ঘোরের মধ্যে ছিল।
[চিনা স্মার্টফোন মারফত ভারতের তথ্য পাচার হচ্ছে বেজিংয়ে!]
পড়ুয়াদের মধ্যে কেউ বিরল এই মুহূর্তের ছবি লেন্সবন্দি করে ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পতাকা উত্তোলনের কাজ যেভাবে বুঝে নিল বানরকূল তা নিয়ে উৎসাহীদের কৌতুলের শেষ নেই।
The post এ কী কাণ্ড! জাতীয় পতাকা তুলছে হনুমান! appeared first on Sangbad Pratidin.