দীপালি সেন: কলেজের ক্যান্টিন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোদ ভেজা বারান্দায় দু’টো ভালবাসার কথা বলছেন প্রেমিক-প্রেমিকা। একে অপরের হাত ধরে আগামীর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছেন। এমন ছবি দেখতে অভ্যস্ত এ সমাজ। কিন্তু এবার সেই প্রেমেই লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়! প্রেসিডেন্সিতে প্রেম করলেই হবে ‘ধরপাকড়’! কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল পড়ুয়াদের একাংশ।
প্রেসিডেন্সি (Presidency University) কর্তৃপক্ষ যেন নীতি পুলিশের ভূমিকায়। ছাত্রছাত্রীরা রোমিও-জুলিয়েট হয়ে উঠলেই রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ করা হবে! পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেম করলে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পাবলিক প্লেসে অর্থাৎ প্রকাশ্যে ঠিক কতখানি মেলামেশা করা যাবে, তার মাপকাঠি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, প্রয়োজন মনে করলে যুগলের অভিভাবকদেরও তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তার কথা শুনে বিশ্রীভাবে হাসতেন! যোগেশ্বরকে তুলোধোনা ভিনেশের]
এই নিয়ে সরব হয়েছে এসএফআই (SFI)। তাঁদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নীতি পুলিশ চলছে। স্বাধীন চিন্তাধারাকে বাধা দেওয়ার কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে এসএফআইয়ের তরফে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাফাই, নীতি পুলিশি করা হচ্ছে না। কিন্তু বেশ কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসে। সেই কারণেই তাদের তরফে ছাত্র বা ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদের ডেকেও কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই ‘ধরপাকড়’ শুরু হয়েছে।