সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১৪ বছর ক্লাবে ঢোকেনি আই লিগ ট্রফি৷ পুরনো স্মৃতি ভুলিয়ে এ মরশুমে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা৷ কিন্তু রবিবার শিলিগুড়িতে ডার্বি হারের পর আই লিগ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে৷ ফলে ক্ষোভ আর চাপা রাখতে পারেননি তাঁরা৷ শুক্রবার যা মাত্রা ছাড়াল৷ ‘গো ব্যাক মর্গ্যান’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সমর্থকরা৷ উত্তপ্ত হয়ে উঠে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চত্বর৷
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার৷ সেদিন সকালে অনুশীলনে এসে গ্যালারি থেকে ‘গো ব্যাক মর্গ্যান’ স্লোগান তোলেন একদল ক্ষুব্ধ সমর্থক৷ কিছুতেই থামানো যায়নি তাঁদের৷ সমর্থকদের ক্ষোভ থেকে বাদ যাননি কর্মকর্তারাও৷ ব্যর্থতা স্বীকার করে কর্তাদের সরে দাঁড়ানোর দাবি জানান তাঁরা৷ ক্রমশ সঙ্ঘবদ্ধ হন সমর্থকরা৷ সেদিনই ঠিক করেছিলেন, শুক্রবার সকালে ক্লাবে জমায়েত হবেন তাঁরা৷ পরিকল্পনা মতোই গুড ফ্রাইডে-র সকালে অনুশীলনের আগেই ক্লাব চত্বরে পৌঁছে যান একদল সদস্য সমর্থক৷ প্ল্যাকার্ড নিয়ে ক্লাবে চলতে থাকা রাজনীতির প্রতিবাদ জানান৷ শুধু কোচই নন, গোলকিপার রেহেনেসের লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্সের কথাও শোনা যায় তাঁদের মুখে৷ রেহেনেসকেও দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলা হয়৷ এরপরই সমর্থকদের দিকে রেহেনেস অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন বলে খবর৷ যার জেরে আরও রেগে যান ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা৷ ফুটবলারদের অনুশীলনে নামতে বাধা দেওয়া হয়৷ সমর্থকদের ভিড় ঠেলে একপ্রকার জোর করে ছেলেদের নিয়ে মাঠে নামেন মর্গ্যান৷ ক্লাবের শীর্ষকর্তা এসে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি৷ মোট ১৫টি দফায় দাবি তুলে বিক্ষোভ জানান৷ সবমিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যায়৷
[”টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ধোনি আর উপযুক্ত নয়”]
৩ বছরে আটটি ট্রফি দেওয়ার পর ২০১৩ সালে ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন সাহেব কোচ৷ সে সময় মর্গ্যানকে থেকে যেতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ভক্তরা৷ যুবভারতীতে ‘স্টে ব্যাক’ প্ল্যাকার্ড হাতে মর্গ্যানের পা পড়তেও দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের৷ কিন্তু ইস্টবেঙ্গলে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস একেবারেই সুখের হল না৷ এবার দেখার এমন পরিস্থিতিতে কোচ এবং ক্লাবকর্তারা কী সিদ্ধান্ত নেন৷
[OMG! ৪ বলে ৯২ রান দিলেন বাংলাদেশের এই বোলার]
The post ‘গো ব্যাক মর্গ্যান’ স্লোগানে সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভ, উত্তপ্ত ইস্টবেঙ্গল তাঁবু appeared first on Sangbad Pratidin.