সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন ঘোষণার পরেই জানা গিয়েছিল যে নতুন মসজিদও খুব তাড়াতাড়ি গড়ে উঠবে অযোধ্যায় (Ayodhya)। সম্প্রতি সে বিষয়ে মুখ খুললেন মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ইন্দো-ইসলামিক কালাচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক ও মুখপাত্র আতাহার হুসেন। পুরনো নকশার সঙ্গে কোনও মিল না থাকলেও বাবরির মাপেই নতুন এই মসজিদ গড়ে উঠবে বলে তিনি জানালেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই অযোধ্যায় নতুন মসজিদ গড়ে তোলার জন্য ইন্দো-ইসলামিক কালাচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (IICF) গঠন করে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। এরপর থেকেই রাম মন্দিরের জায়গা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধন্নিপুরে একটি মসজিদ তৈরি পরিকল্পনা শুরু হয়। বর্তমানে ওই জায়গায় থাকা সরকারি ফার্মে চাষের জমির পাশাপাশি একটি দরগাও রয়েছে। সেখানেই ১৫ হাজার বর্গফুটের একটি মসজিদ তৈরির প্রস্তুতি চলছে।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট খেলার অপরাধে কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ১০ যুবক, নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পুলিশের ]
এপ্রসঙ্গে মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টের সম্পাদক আতাহার হুসেন বলেন, 'ধন্নিপুরের ওই পাঁচ একর জমিতে ১৫ হাজার বর্গফুটের একটি মসজিদ গড়ে তোলা হবে। বাকি জায়গায় তৈরি হবে হাসপাতাল ও ইন্দো-ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের একটি মিউজিয়াম। পুরো বিষয়টি সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম আখতারকে। পাশাপাশি মিউজিয়ামটি সাজিয়ে তোলার বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিখ্যাত খাদ্য সমালোচক পুষ্পেশ পন্থের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। নতুন মসজিদটি বাবরির মাপে তৈরি হলে তার নকশার সঙ্গে কোনও মিল থাকবে না। থাকবে না কোনও সম্পর্কও। ইসলামের মূল উদ্দেশ্য, মানবিকতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে নতুন এই মসজিদ তৈরি হবে। তবে মসজিদ তৈরির আগেই ওই জমিতে হাসপাতাল তৈরি কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ করোনা আবহে মসজিদের থেকে স্থানীয় মানুষদের হাসপাতালেরই বেশি দরকার। এখানকার বাসিন্দারা অনেক দিন ধরে সেই দাবিই জানাচ্ছেন।'