সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গর্ভধারিণী মায়ের বিরুদ্ধেই নিজের সাতদিনের পুত্রসন্তানকে জলে ডুবিয়ে ‘খুন’ করল বলে অভিযোগ। পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুর থানার খয়রাডি গ্রামে বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন ওই গ্রামের মানুষজন। বিষয়টি জানাজানি হতেই বাপের বাড়ির লোকজন তার বাবার সামনে পুকুরে জাল ফেলে ওই মৃত সন্তানকে উদ্ধার করে। শিশুটিকে বলরামপুরের (Balarampur) বাঁশগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। ঘটনায় অভিযুক্তের ভাই তার দিদির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বলরামপুর থানার পুলিশ খুনের (Murder) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত মা বেপাত্তা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কী কারণে মা তার সাতদিনের সন্তানকে এভাবে জলে ডুবিয়ে ‘খুন’ করল তা বুঝতে পারছে না পুলিশ। সমগ্র ঘটনায় ধন্দ কাটছে না তাদের। এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক কলহ নাকি অন্য কিছু? অন্ধকারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সাতদিনের মৃত সন্তানের নাম জিতু মাহাতো। অভিযুক্ত মায়ের নাম মমতা মাহাতো। বছর আটেক আগে বলরামপুরের খয়রাডি গ্রামের বাসিন্দা, মমতা মাহাতোর সঙ্গে পাড়দ্দা গ্রামের তাপস মাহাতোর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুখেই চলছিল সংসার। তাঁদের একটি সাড়ে ছ’বছরের পুত্রসন্তান আছে।
অভিযুক্ত মায়ের শ্বশুরবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই মা তার সাতদিনের পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ভোরবেলায় ঘর থেকে বের হন। সকালের দিকে পরিবারের নজরে পড়লে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় বাপের বাড়িতেও। বাপের বাড়ি খয়রাডি গ্রামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা অভিযুক্ত মমতাকে তাদের গ্রামের পুকুরে দেখেছিলেন। তার পরেই গ্রামের বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত মাকে জলাশয় থেকে কোনওক্রমে তোলেন। তখনও বোঝা যায়নি, এর পিছনে এমন হাড়হিম ঘটনা রয়েছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হতে এই ব্যাপারটি সামনে আসে। অভিযুক্তের ভাই সুদর্শন মাহাতো তার দিদির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন।